Shibu Soren Death: প্রয়াত ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো শিবু সোরেন। বেশ কয়েকদিন ধরে দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
'দিশোম গুরু' নামেও পরিচিত শিবু সোরেন ঝাড়খণ্ড রাজনীতির এক শক্তিশালী স্তম্ভ ছিলেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ব্যানারে তিনি আদিবাসীদের অধিকার ও সংগ্রামের জন্য কঠোর লড়াই করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন বার্তায় লিখেছেন, "শ্রদ্ধেয় 'দিশোম গুরু'জি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেছি।"
স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, শিবু সোরেন সকাল ৮:৫৬ মিনিটে প্রয়াত হন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ সোমবার সকালে প্রয়াত হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন এবং দেড় মাস আগে স্ট্রোকেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত এক মাস ধরে তিনি লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ছিলেন।
শিবু সোরেনের ঝাড়খণ্ডের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং কেন্দ্রে কয়লামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শিবু সোরেনের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১১ জানুয়ারী বিহারের হাজারিবাগে। তিনি দিশোম গুরু এবং গুরুজি নামে পরিচিত।
তিনি আদিবাসীদের শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর অধিকার রক্ষার্থে প্রাণপাত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রথমবারের মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু পরাজয়ের মুখোমুখি হন। তবে ১৯৮০ সাল থেকে তিনি টানা বেশ কয়েকবার সাংসদ নির্বাচিত হন।
বিহার থেকে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তিনবার (২০০৫, ২০০৮, ২০০৯) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, কিন্তু একবারের জন্যও তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
শিবু সোরেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, "শিবু সোরেনজি ছিলেন একজন তৃণমূল স্তরের নেতা যিনি জনগণের প্রতি অটল নিষ্ঠার সাথে জনজীবনে উচ্চতা স্পর্শ করেছিলেন। তিনি বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়, দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতদের ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির সাথে কথা বলেছি এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছি। ওম শান্তি।"