/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/03/sir-voter-list-revision-protest-tamil-nadu-west-bengal-congress-tmc-dmk-2025-11-03-13-33-17.jpg)
দেশের ১২ রাজ্যে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন
আগামীকাল ৪ নভেম্বর থেকে দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (SIR)। তবে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত একাধিক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে যে এই প্রক্রিয়া আসলে ভোটার তালিকা থেকে বিরোধীদের সমর্থকদের নাম মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে চালু করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন- তুমুল চাহিদাতে সোনার দাম বাড়ল না কমল? জানুন দিল্লি, মুম্বই এবং কলকাতায় আজ হলুদ ধাতুর দর
এই বছরের শুরুতে বিহারে প্রথম পর্যায়ে এই SIR ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে । এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, গোয়া, ছত্তিশগড়, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ননের পথে। কমিশন জানিয়েছে, এই পর্যায়ের গণনা চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ।
তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে তারা এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের আহ্বানে একটি বৈঠকে অংশ নেন কংগ্রেস, এমডিএমকে, বাম দল, কমল হাসানের নেতৃত্বাধীন মাক্কাল নিধি মায়াম, মুসলিম লীগ ও অন্যান্য আঞ্চলিক মিত্র দলগুলি। সভায় সর্বসম্মতভাবে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে। ৪ নভেম্বর কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দলের বক্তব্য, “এই বিশেষ নিবিড় সংশোধন আসলে নীরব ভোট কারচুপি।” তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করবে যাতে কোনো যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন।
কংগ্রেসও শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে “বিরোধী ভোটারদের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র” বলে অভিযোগ করছে। রাহুল গান্ধী বিহারে এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতায় ভোটাধিকার রক্ষা পদযাত্রা করেছিলেন। কংগ্রেসের দাবি, কমিশন বিজেপির চাপেই কাজ করছে।
আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, “বিহারে এসআইআর পর্ব মেটার পরও প্রায় ৫ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটার তালিকায় রয়ে গেছে, ৮০ লক্ষ নাম মুছে ফেলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- RPF-এর দুরন্ত অভিযানে বড়সড় সাফল্য! মুহূর্তের অ্যাকশনে বিরাট গ্রেফতারি
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, “এই প্রক্রিয়ায় জাতিগত আদমশুমারির একটি কলাম যুক্ত করা উচিত।” যদিও তাঁর দলেরই এক সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব মতভেদ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে বিরোধী ভোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কেরলের বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা (এলডিএফ) কমিশনের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যাতে পুর নির্বাচনের আগে রাজ্যে এই প্রক্রিয়া কার্যকর না করা হয়। এলডিএফের মতে, এটি জনগণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কমিশনের উচিত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা।
আরও পড়ুন- রাহু-কেতুর দোষ থেকে মিলবে মুক্তি, কাটবে খারাপ প্রভাব, দেব দীপাবলির দিনে করুন এই বিশেষ কাজ
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এই উদ্যোগকে “বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “যখন এই প্রক্রিয়া ১২টি রাজ্যের ৫১ কোটি ভোটারের কাছে পৌঁছাবে, তখন এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক বিশাল মাইলফলক অর্জন করবে।”
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us