/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/mamata-dilip-759.jpg)
WB SSC Recruitment Scam Case: চাকরি বাতিল নিয়ে দিলীপ ঘোষের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
SSC Verdict News: প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন আক্রমণ BJP নেতা দিলীপ ঘোষের। "হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড় খেয়ে দুটো গাল লাল হয়ে গেছে। এখনও বড় বড় কথা বলছেন?" SSC মামলার ( SSC Recruitment Case Verdict ) চূড়ান্ত রায়দান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির নিশানা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের।
গতকালই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল ইস্যুটি নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধনা করে সুর চড়িয়েছে।
'তৃণমূলের দুর্নীতির মাশুল গুণতে হল হাজার-হাজার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের', এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। চাকরি বাতিল ইস্যুতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষেরও (Dilip Ghosh)। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যকেই এ ব্যাপারে তৎপরতা নিতে হবে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বলে দেয়। কাজ হয় না। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের থাপ্পড় খেয়ে দুটো গাল লাল হয়ে গেছে। করবেন কীভাবে? প্রমাণ তো নষ্ট হয়ে গেছে। মমতা এখনও বড় বড় কথা বলছেন? দলের নেতা-কর্মী সবাই দুর্নীতিতে যুক্ত। রাজ্যের মানুষ ৫০০ বা ১০০০ টাকার লোভে ভুল করে এদের ক্ষমতায় এনে ফেলেছে। আর আনবে কী?"
সর্বোচ্চ আদালতের এই চাকরি বাতিল রায় নিয়ে বিরোধী বিজেপি-র পাশাপাশি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। এই বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কারা অপরাধ করেছে সবাই জানে। যারা অসৎ তাদের টাকা আছে। দিয়ে দেবে। যারা সৎ তারা কী অপরাধ করেছে? বাংলার মুখ পুড়ে গেছে। গোটা বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। কোর্ট রায় দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ কী করবে? টাকা নিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা, সরকারের লোকেরা, দলের লোকেরা আর দোষ হয়ে গেল অন্যের? মানুষ এর বিচার করবে।"
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টকে আরও একটু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষয়টি দেখার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সেই ইস্যুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "এতদিন বসে বসে কী করছিলেন? মানুষ বাধ্য হয়ে আদালতে গেছে। এখানে আপনি সিদ্ধান্ত নেন না। এই সরকার ভেঙে দিয়ে এখানে আদালতের সরকার চালানোর দরকার আছে।"
এরই পাশাপাশি ফের একবার 'রামনবমী' (Ramnavami) নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন বঙ্গ বিজেপির এই দাপুটে নেতা। রামনবমী পালন নিয়ে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, "পুলিশের অতিসক্রিয়তা, কারণ পুলিশ ভয় পাচ্ছে। পোস্টার সরিয়ে পুলিশ সমাজবিরোধী ভূমিকা পালন করছে। আমরাও সেইভাবেই পুলিসকে ট্রিট করব। যোগ্যতা নেই। ক্ষমতা নেই। কিছু লোক বলছে সেদিন রাস্তায় নামবে। কেন নামবে? তোমরা তো রাস্তায় নেমে ঈদ করেছ। সেদিন বাড়িতে থাকো। যদি রাস্তায় নেমে সেদিন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করো লক্ষ লক্ষ লোক ওপর দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাবে। তখন কিন্তু দোষ দিও না। আমি পুলিশকে বলে দিচ্ছি, দিন পাল্টেছে। পুলিশের ব্যবহারে হিন্দু সমাজ রুষ্ট। মালদা, মুর্শিদাবাদে ঘটনা ঘটেছে। পথে নামোনি। আমি বলছি সেদিন সবাই পথে নামুন। বিজেপি পিছনে আছে। সব সামলে নেব। ভুলে যেওনা ৬৬ কোটি হিন্দু কুম্ভ স্নান করেছে। হিন্দুরা আর সেই হিন্দু নেই।"