Suvendu Adhikari & Mamata Banerjee: শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Suvendu Adhikari attacked Mamata Banerjee from Sandeshkhali meeting: বিরোধী দলনেতা আগেই বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গেলে তিনি পরের দিনেই সেখানে যাবেন। তবে সন্দেশখালির অতীত যে শুভেন্দু ভুলতে দেবেন তা তিনি স্পষ্ট করেছেন। সন্দেশখালির ঘটনার 'বদলা' নেবেন বলে, সেখানে জনসংযোগ সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেল খাটানোর হুমকি দিতেও ছাড়লেন না তিনি।
Advertisment
গতকাল, সোমবার সন্দেশখালিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আজ, মঙ্গলবার জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ভুলে যেতে বলেছেন আপনি। এখনকার লোক ভুলবে না। আমিও ভুলব না। এরাজ্যে BJP সরকার হলে সন্দেশখালির ঘটনায় কমিশন বসবে। যে মহিলাদের জেল খাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকেও এই মহিলাদের মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর জন্য জেলে পাঠাবে বিজেপি। বদলাতো নেব, সুদ সহ নেব। আইন মেনে নব। সংবিধানের মধ্য থেকে নেব।"
এদিনও শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, "বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হওয়া রেখা পাত্রের শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, "রেখা মামলা করেছে। হাজি নুরুলের নোমিনেশন ডিফেক্টিভ। একই গ্রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের বীরভূমের নমিনেশন কেটেছে। আর এখানে মমতার আমলারা পার পেয়ে যাবে? কয়েকদিন আগে হেয়ারিং ছিল। রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিতে গিয়েছিল। বিচারপতি হলফনামা বাতিল করে ক্ষমা চাইয়েছে। নিশ্চিন্তে থাকুন বিজেপির সাংসদ হবে। চিরদিন কারও সমান যায় না।"
সন্দেশখালির মাটি যে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়বেন না তা আরও একবার স্পষ্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। বরং সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে আশেপাশে হিন্দুপ্রধান বিধানসভা কেন্দ্র জিততে মরিয়া নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানুয়ারি মাস থেকে গীতা বিতরণ করবেন সন্দেশখালি থেকে। তিনি বলেছেন, "সন্দেশখালিতে আমার ভাড়া বাড়ি আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে আসব। দলের সভা করতে নয়, গীতা বিতরণ করা হবে। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করব। সোশাল মিডিয়ায় তারিখ জানিয়ে দবে। গীতা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।"
হিন্দু ভোটের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৬ ভোটে বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি। সিপিএমকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, "এত লুটপাঠ, চুরির পরেও বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। আর মাত্র ৫ শতাংশ হিন্দু ভোট প্রয়োজন। নিরপাদবাবু মাঝে মাঝে লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেন। এরা হিন্দু ভোট কাটে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। একটা মুসলিম ভোটও কাটে না।"