Suvendu Adhikari raised allegations of corruption regarding the Lakshmi Bhandar scheme: একদিকে ট্যাবের আর্থিক দুর্নীতি (Tab Scam) অন্যদিকে ডিয়ার লটারির বড়সড় কেলেঙ্কারির (Lottery Fraud Case) অভিযোগ। 'সর্বনাশ' বাংলার সাধারণ মানুষের! কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এরই মধ্যে আর এক নয়া কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ছাত্র-ছাত্রীদের রাজ্য সরকারের দেওয়া ট্যাবের আর্থিক কেলেঙ্কারি একের পর এক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের বেশিরভাগই সাইবার ক্যাফের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। নিত্যদিন ট্যাবের কেলেঙ্কারিতে নতুন নতুন স্কুলের নাম প্রকাশ পাচ্ছে। তদন্তের জন্য রাজ্য সিট গঠন করেছে। এককথায় ট্যাবের টাকা কোথায় গেল তা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। এদিকে ডিয়ার লটারির গোডাউনে ও অফিসে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। যেন এক যোগে চলছে দুই কেলেঙ্কারি। এরইমধ্যে এবার আর এক রাজ্য সরকারের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) দুর্নীতি ফাঁস করার কথা ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্প রয়েছে। বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে সরাসরি উপভোক্তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে থাকেন। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিগত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রতিশ্রতিতে অনেকটাই বাজিমাত করতে সক্ষম হয়েছিল ঘাসফুল শিবির, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারপর চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনে আগের হারানো জমি কিছুটা উদ্ধার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতেও এই প্রকল্পের ভূমিকা বিশেষ দেখছে রাজনৈতিক মহল। মহিলা ভোটারদের বড় অংশ সমর্থন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের দলকে। ভোট প্রচারে লক্ষ্মীর ভান্ডার ছিল বড় ইস্যু। এবার সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বড়সড় বোমা ফাটালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
ট্যাবের আর্থিক কেলেঙ্কারি, লটারি কেলেঙ্কারির কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "এরপর লক্ষ্মীর ভান্ডার কেলেঙ্কারি বের হবে। আমার কাছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কয়েক হাজার ভুয়ো ব্যাংক অ্যকাউন্টের নম্বর চলে এসেছে। আমি সব প্রকাশ করে দেব। পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের টাকা কাকদ্বীপের আই প্যাকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। ১২ কোটি টাকা। পরে চেক নম্বর বলে দেব।" আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "কোনও সরকার কি আছে পশ্চিমবঙ্গে? সরকার নেই। সরকার না থাকলে রাস্তার বাস উধাও হবেই।"
আরও পড়ুন- Digha: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, হই হই পড়ে যাবে দিঘায়! কেন জানেন?
কলকাতায় ডিয়ার লটারির অফিসে টাকার পাহাড় মিলেছে। এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, "ডিয়ার লটারি সর্বনাশ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। একথা আমি গত ৩ বছর ধরে বলে আসছি। রাজ্য সরকারের লটারি বঙ্গলক্ষ্মী, ধনলক্ষ্মী সমস্ত বন্ধ করে দিয়েছে এই জালিয়াতি করার জন্য। ভাইপো লটারি শেষ করে দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষকে। রোজ ২০০-৩০০টাকা আয় করে মানুষজন ডিয়ার লটারির টিকিট কিনছে্। এটা সারদা, রোজভ্যালির মতো স্ক্যাম। নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে ৬০০ কোটি টাকার বেশি দিয়েছে এই সংস্থা।" তবে আইপ্যাক ও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ওই প্রকল্পের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে ট্যাবের আর্থিক কেলেঙ্কারির পরিমান ক্রমশ বাড়ছে। বিহারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও চলে গিয়েছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাবের টাকা। বিরোধী দলনতার দাবি, "লক্ষ্মীর ভান্ডারেও হাজার হাজার ভূয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে।" রাজনৈতিক মহল অপেক্ষায় আছে, কথার কথা না হয়ে কবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করবেন শুভেন্দু অধিকারী।