Advertisment

Success Story: ধনুক ভাঙা পণে দুর্ধর্ষ সাফল্য বঙ্গতনয়ার! বিশ্বের দরবারে ভারতকে গর্বিত করলেন সায়নী

Success Story: এর আগেও দারুণ কঠিন সব অভিযানে নেমেও সাফল্য ঝুলিতে পুরেছিলেন বাংলার এই কীর্তিময়ী। তাঁর অভূচপূর্ব কৃতিত্বকে কুর্ণিশ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে 'খেলশ্রী' পুরস্কারে ভূষিত করেছে। 'মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড'ও পেয়েছেন সায়নী দাস। এবার বেনজির কীর্তির শিখর স্পর্শ বঙ্গতনয়ার।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
swimmer sayani das crosses north channel, সায়নী দাস, নর্থ চ্যানেল, পঞ্চম সিন্ধু

সায়নী দাস। ছবি: প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।

Success Story: বিদেশের মাটিতে আবারও ভারতের তেরঙা জয়ধ্বজা ওড়ালেন বাংলার 'জলকন্যা' সায়নী দাস।  এবার তিনি জয় করলেন সপ্ত সিন্ধুর পঞ্চম সিন্ধু। 

সায়নী এশিয়া মহাদেশের প্রথম মহিলা সাঁতারু যিনি আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ১৩ ঘন্টা ২২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে ৪৮ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পঞ্চম সিন্ধু জয়ের রেকর্ড গড়লেন। শনিবার ভোর ৩ টে নাগাদ মেয়ে সায়নীর সাফল্যের খবর পান বাবা রাধেশ্যাম দাস। তাঁর কথায়, "আর বাকি রইল সপ্ত সিন্ধুর ষষ্ঠ ও সপ্তম সিন্ধু সুগারু ও জিব্রালটার প্রণালী। এই দুই সিন্ধু জয় করতে পারলেই আমার মেয়ে সায়নীর মাথায় উঠবে ওশেন সেভেন মুকুট।" 

Advertisment

রটনেষ্ট, ক্যাটালিনা, ইংলিশ চ্যানেল, মালোকাই চ্যানেল ও কুক স্ট্রেইট চ্যানেল জয় আগেই শেষ করেছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বারুইপাড়ার মেয়ে সায়নী দাস। এবার তিনি সপ্ত সিন্ধুর পঞ্চম সিন্ধুও জয় করে ফেললেন। একের পর এক এই সাফল্যের কৃতিত্বে বাংলার মেয়ে সায়নী আজ 'বিশ্ববন্দিতা'। তাই তাঁর এই সাফল্যে খুশি গোটা বাংলা। একইভাবে উল্লসিত সায়নীর বাবা-মা এবং শুভানুধ্যায়ীরা। 

সায়নী দাসের বাবা রাধেশ্যাম দাস অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। মা রুপালীদেবী গৃহবধূ। বাবা রাধেশ্যাম দাসের হাত ধরে সায়নীর সাঁতারে হাতেখড়ি হয়। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সায়নী নিজেকে কার্যত 'জলকন্যা' বানিয়ে ফেলেন। হাওয়ার গতিবেগ, জলের স্রোত এবং দীর্ঘ সময় সাঁতার কেটে এগিয়ে চলার যোগ্য হিসাবে নিজেকে তিনি তৈরি করেন। সেই যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গতনয়া সায়নী রটনেষ্ট ও ক্যাটলিনা চ্যানেল জয়ের পর ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল জয় করেন। এরপর ২০২২ সালে তিনি আমেরিকার মালোকাই চ্যানেল জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

শুধু ভারত নয়, এশিয়া মহাদেশের মহিলা সাঁতারু হিসাবেও সায়নী প্রথম মালোকাই চ্যানেল জয়ের নজির সৃষ্টি করেন। আর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সপ্তসিন্ধুর এক সিন্ধু নিউজিল্যাণ্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল তিনি জয় করেধ। শনিবার ভোরে সায়নী নর্থ চ্যানেল জয় করে ফেললেন। বাকি আর রয়েছে সুগারু ও জিব্রাল্টার প্রণালী জয়। তাহলেই ইতিহাস সৃষ্টি করবেন বঙ্গতনয়া সায়নী। তাঁর মাথায় উঠবে ওশেন সেভেন চ্যালেঞ্জের মুকুট।

আরও পড়ুন- পুজোর আগেই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিরা, জন্ম দুটি তুষার চিতা, চারটে রেড পান্ডার

সায়নীর বাবার কথায়, "আয়ারল্যান্ডে মেয়ের নর্থ চ্যানেল জয় খুব একটা ছিল না। আগের চারটি চ্যানেল জয়ের থেকেও নর্থ চ্যানেল জয়ের জন্য কঠিন লড়াই চালাতে হয়েছে সায়নীকে। পরিস্থিতির প্রতিকূলতার কারণে ৬ মাইলের ক্ষেত্রে সায়নীকে  দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় থাকতে হয়েছে। কখনও সায়নী তিন ঘণ্টায় মাত্র ১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছে। এছাড়াও জলের টান ও জেলিফিসের জন্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে। জলে এই ভাবে লড়াই চালিয়ে 

১৩ ঘন্টা ২২ মিনিটে ৪৮ কিলোমিটার পথ সাঁতরে রেকর্ড গড়েছে ও।" এর আগে সব প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে ১১ ঘন্টা ৫১ মিনিটে ২৯.৫ কিলোমিটার দুর্গম জলপথ অতিক্রম করে সায়নী কুক প্রণালী জয় করেছিলেন বলে রাধেশ্যামবাবু জানান । 

আরও পড়ুন- Eastern Rail: হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে রোজ কতগুলি ট্রেনের শহরতলীতে যাতায়াত? জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

আর ওপড়ুন-Eastern Rail: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে যাবেন? স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেল, জানুন বিস্তারিত

সায়নী বাড়ি ফিরলে তাঁকে নিয়ে জয় সেলিব্রেট করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কালনার ক্রীড়াপ্রেমীরা। তাঁরা জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই 'খেলশ্রী' সম্মানে ভূষিত করেছে সায়নীকে। এছাড়াও 'মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড' সায়নী পেয়ে গিয়েছে।  কালনার মেয়ে সায়নী আজ শুধু বাংলার গর্ব নয় ,

দেশের গর্ব। সায়নী আজ বিশ্ববন্দিতা। তাই সায়নী কালনার বাড়িতে ফিরলেই  তাঁকে নিয়ে  পঞ্চম সিন্ধু জয়ের সেলিব্রেশনে মেতে ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এলাকাবাসীও। 

আরও পড়ুন- Adhir Chowdhury: নির্যাতিতার পরিবার 'গৃহবন্দি', আরজি করে ঢুকতে বাধা পেয়ে পুলিশকে তুলোধনা অধীরের

আর ওপড়ুন-Migrant Labour Murder: গরুর মাংস খাওয়ার 'অপরাধে' হরিয়ানায় পিটিয়ে খুন বাংলার যুবককে

Purba Bardhaman swimmer Success Story
Advertisment