/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/21/dim-vat-2025-07-21-11-26-24.jpg)
TMC July 21 Shahid Diwas: কলকাতায় ভিড় তৃণমূল কর্মীদের। তাদের খাবারের জন্য রয়েছে এলাহি বন্দোবস্ত।
TMC July 21 Rally: ''ডিম্ভাত' মানেই ২১ জুলাই', বিগত কয়েকবছর ধরেই কটাক্ষ ছুঁড়ছে বিরোধীরা। তাহলে কি দূরদূরান্ত থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা না খেয়ে থাকবেন নাকি? তাঁদের বক্তব্য, এবার তো ডিম আর খিচুরি দিল। এই খাবার তো দারুণ পুষ্টিকর। চট্রেন থেকে নেমেই এই খাবার খেয়ে দিদিকে ধন্যবাদ দিতেও ভুলছেন না উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
২১ জুলাই শহীদ দিবস। ১৯৯৩ সালে রাইটার্স ভবন অভিযান করেছিল যুব কংগ্রেস। নেতৃত্ব ছিলেনম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর থেকে এই দিনটি শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। নির্বাচনে জয় পেলে এই দিনের নামেই উৎসর্গ করা হয়। সারা রাজ্য থেকে সড়ক রথেক পাশাপাশি ট্রেন যোগেও দলের কর্মীরা এই শহিদ দিবসে ভিড় জমান ধর্মতলায়।
সকালে দার্জিলিং মেলে শিয়ালদা নেমেছেন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের সাইয়ারা সরকর। প্রতিবছর শহিদ দিবসে আসা এই তৃণমূল কর্মী বলেন,, এখানে খাওয়ার খুব সুন্দর ব্যবস্থা হয়েছে। ডিম- খুচুরি। রান্না খুব ভালো। এত দূর থেকে আসা সবাইকে মাছ, মাংস দেওয়া সম্ভব নয়। এতেই আমরা খুশি। বিরোধীদের ডিম্ভাত কটাক্ষকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন সাইয়ারা। বিরোধীরা বিরোধিতা করতে এইসব বলবেই। ওদের শুধরে দলে টানবো। তিনি বলেন, আমরা ধর্মতলায় গিয়ে দিদির বক্তব্য শুনবো। ফিরে গিয়ে আমারা ১০ জনকে বোঝাব।
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/21/21-pic-2025-07-21-11-35-45.jpg)
হলদিবাড়ি থেকে এসছেন লালমোহন চৌহান। তিনিও যাবেন ধর্মতলায়। নেমেই ডিম, খিচুরি পেয়েও তিনি আনন্দিত। তৃণমূল কর্মী লালমোহন বলেন, চার ঘন্টা লেটে দার্জিলিং মেলে থেকে নামলাম। সাধারণনত এই ট্রেন এত লেট করে না। আমরা দিদির দেওয়া অন্য় অন্ন খাচ্ছি। খিচুরি -িডম। খুব আনন্দ পাচ্ছি। দিদি এমন ব্যবস্থা করেছে। শিয়ালদায় এমন অসাধারণ ওয়েলকাম। ডিম সুস্বাদু খাদ্য, প্রোটিনে ভরা। ইউনস্কো প্রেফার করে। খিছুরির তো কোনও তুলনাই নেই।
আরও পড়ুন- TMC: 'স্বামীর খুনিদের কেউ কেউ এখনও তৃণমূলে', একুশের সভায় এসে বিস্ফোরক দুলাল সরকারের স্ত্রী
তবে শিয়ালদায় ডিম, খিচুরি হলেও কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিরিয়ানি, মাংস-ভাতের ঢালাও আয়োজন আয়োজন। কোথাও রান্না চলছে সকাল থেকেই। কোথাও চলছে প্যাকেট বিলি। এই দিনেই কলকাতার রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। কেশপুর থেক এসেছেন উত্তম কুমার দাস। তিনি বলেন, টিফিনে ছিল ছোলা, ঘুঘনি, মুড়ি। রান্না চলছে মুরগির মাংস। আর আছে আলুসিদ্ধ, ভাত, আলু-পোস্ত।