Tmc leadership not paying attention to controversial comments of Kalyan, Sougata, Madan, Firhad: দলের সাংগঠনিক নানা স্তরে পরিবর্তন, এমনকী জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব বদলের প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্য ও জেলা স্তরে দলের নানা স্তরে কানাঘুষো চলছে। এরই মধ্যে তৃণমূলের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের ওপর আক্রমণের পর দলের প্রবীণ নেতৃত্বের কাদা ছোড়াছুড়ি অব্যাহত। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জড়িয়েছেন দলের শীর্ষ দুই সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্ররা। এর আগে অভিষেককে নিয়ে বিতর্কও শুরু করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
গত কয়েক বছর ধরে ২১ জুলাইয়ের পর দলের সাংগঠনিক স্তরে পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কোনও ঘোষণা হয়নি। বেশ কয়েকটি জেলায় সভাপতি পরিবর্তন করা নিয়ে জল্পনা চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে প্রস্তাব পেশ করার পর তা নিয়ে চর্চা কয়েকগুণ বেড়েছে। অনেক তাবড় নেতাকেই বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হবে বলে গুঞ্জনও অব্যাহত। কে সরবেন? কে আসবেন? তা নিয়ে দলের সর্বস্তরে চর্চার মাঝেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে এক্ষেত্রে নবীন নেতৃত্ব জড়ায়নি। কিন্তু কেন প্রকাশ্যে এই মতবিরোধ?
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বরাবরই প্রকাশ্যে ঘোর মমতাপন্থী। এর আগে তিনি অভিষেককে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তবুও কিন্তু লোকসভার টিকিট পেয়েছেন। বৃদ্ধতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক। তবু লোকসভায় দলের প্রার্থী হয়েছেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। ফিরহাদ হাকিমের মেয়র হওয়া নিয়ে অভিষেকের সমর্থনের কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি। এ বিষয়ে অভিষেকের মত ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সারদা-কাণ্ডে (Saradha Scam) জেল খেটেও মদন মিত্র ফের বিধায়ক হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এরা কে কাকে খুশি করছেন তার থেকে বড় কথা হল নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই শীর্ষ নেতৃত্ব যে স্তরে পৌঁছেছেন আপাতত দলের যা অবস্থান এতেই সন্তুষ্ট থাকার কথা।
আরও পড়ুন- Baruipur News: রোজ অগণিত মানুষের বৈতরণী পারের গুরুদায়িত্ব তাঁরই কাঁধে, কর্তব্যে অবিচল টুম্পা
সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের পুলিশের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, এদের বিরুদ্ধে নারদা কাণ্ড (Narada Scam) নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলপাড় ফেলা মন্তব্য, মদন মিত্রের বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া, এমকী হুমায়ুন কবীরও নিজের বক্তব্যে অনড়। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসে এটাই আসল "গণতন্ত্র।"। এখনও পর্যন্ত এই নেতাদের মন্তব্য নিয়ে দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। এর আগেও এরা নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কারও কি কখনও শাস্তি হয়েছে? কেউ কি টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন? আসলে এঁরাই হলেন দলের কাণ্ডারীদের অন্যতম।
আরও পড়ুন- Sandakphu: সান্দাকফু গিয়ে কলকাতার পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু, উদ্বিগ্ন প্রশাসন কঠিন নিয়ম আরোপের পথে...
এর আগে তৃণমূল নেতৃত্বের এমন কাদা ছোড়াছুড়ি বহুবার দেখা গিয়েছে। ইস্যু নিয়ে গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা হতে পারে কিন্তু অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, এমন মন্তব্যের লড়াইতে দলের সার্বিক অস্তিত্বই জাহির হয়। বরং কোনও অস্বস্তিকর ইস্যু থাকলে মিডিয়ার ফোকাস এই নেতাদের দিকে ঘুরে যায়। কিন্তু এঁরা তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবেন, না ছাড়তে হবে তাঁদের পদ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিতর্কিত মন্তব্যের কচকচানিতে কনফিউশন তৈরি হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার আমেজ, নতুন সপ্তাহের গোড়া থেকেই হাড়কাঁপানো শীত?
TMC: সিনিয়র নেতারা কাদা ছোড়াছুড়িতে মাতলেও পাত্তাই দিচ্ছেন না মমতা-অভিষেক, নেপথ্যের 'কারণ' চর্চায়!
TMC: সম্প্রতি আরজি কর ইস্যুতে কল্যাণ-মদনের আকচাআকচি ঘিরে প্রবল চর্চা ছড়ায়। সৌগত, ফিরহাদদের বেশ কিছু মন্তব্যেও জলঘোলা কম হয়নি। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কেন মুখে কুলুপ?
Follow Us
Tmc leadership not paying attention to controversial comments of Kalyan, Sougata, Madan, Firhad: দলের সাংগঠনিক নানা স্তরে পরিবর্তন, এমনকী জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব বদলের প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে রাজ্য ও জেলা স্তরে দলের নানা স্তরে কানাঘুষো চলছে। এরই মধ্যে তৃণমূলের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের ওপর আক্রমণের পর দলের প্রবীণ নেতৃত্বের কাদা ছোড়াছুড়ি অব্যাহত। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জড়িয়েছেন দলের শীর্ষ দুই সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্ররা। এর আগে অভিষেককে নিয়ে বিতর্কও শুরু করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
গত কয়েক বছর ধরে ২১ জুলাইয়ের পর দলের সাংগঠনিক স্তরে পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কোনও ঘোষণা হয়নি। বেশ কয়েকটি জেলায় সভাপতি পরিবর্তন করা নিয়ে জল্পনা চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে প্রস্তাব পেশ করার পর তা নিয়ে চর্চা কয়েকগুণ বেড়েছে। অনেক তাবড় নেতাকেই বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হবে বলে গুঞ্জনও অব্যাহত। কে সরবেন? কে আসবেন? তা নিয়ে দলের সর্বস্তরে চর্চার মাঝেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে এক্ষেত্রে নবীন নেতৃত্ব জড়ায়নি। কিন্তু কেন প্রকাশ্যে এই মতবিরোধ?
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বরাবরই প্রকাশ্যে ঘোর মমতাপন্থী। এর আগে তিনি অভিষেককে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তবুও কিন্তু লোকসভার টিকিট পেয়েছেন। বৃদ্ধতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক। তবু লোকসভায় দলের প্রার্থী হয়েছেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। ফিরহাদ হাকিমের মেয়র হওয়া নিয়ে অভিষেকের সমর্থনের কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি। এ বিষয়ে অভিষেকের মত ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সারদা-কাণ্ডে (Saradha Scam) জেল খেটেও মদন মিত্র ফের বিধায়ক হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এরা কে কাকে খুশি করছেন তার থেকে বড় কথা হল নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই শীর্ষ নেতৃত্ব যে স্তরে পৌঁছেছেন আপাতত দলের যা অবস্থান এতেই সন্তুষ্ট থাকার কথা।
আরও পড়ুন- Baruipur News: রোজ অগণিত মানুষের বৈতরণী পারের গুরুদায়িত্ব তাঁরই কাঁধে, কর্তব্যে অবিচল টুম্পা
সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের পুলিশের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, এদের বিরুদ্ধে নারদা কাণ্ড (Narada Scam) নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলপাড় ফেলা মন্তব্য, মদন মিত্রের বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া, এমকী হুমায়ুন কবীরও নিজের বক্তব্যে অনড়। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসে এটাই আসল "গণতন্ত্র।"। এখনও পর্যন্ত এই নেতাদের মন্তব্য নিয়ে দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। এর আগেও এরা নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কারও কি কখনও শাস্তি হয়েছে? কেউ কি টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন? আসলে এঁরাই হলেন দলের কাণ্ডারীদের অন্যতম।
আরও পড়ুন- Sandakphu: সান্দাকফু গিয়ে কলকাতার পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু, উদ্বিগ্ন প্রশাসন কঠিন নিয়ম আরোপের পথে...
এর আগে তৃণমূল নেতৃত্বের এমন কাদা ছোড়াছুড়ি বহুবার দেখা গিয়েছে। ইস্যু নিয়ে গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা হতে পারে কিন্তু অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, এমন মন্তব্যের লড়াইতে দলের সার্বিক অস্তিত্বই জাহির হয়। বরং কোনও অস্বস্তিকর ইস্যু থাকলে মিডিয়ার ফোকাস এই নেতাদের দিকে ঘুরে যায়। কিন্তু এঁরা তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকবেন, না ছাড়তে হবে তাঁদের পদ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিতর্কিত মন্তব্যের কচকচানিতে কনফিউশন তৈরি হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার আমেজ, নতুন সপ্তাহের গোড়া থেকেই হাড়কাঁপানো শীত?