TMC leaders killed:দলের দ্বন্দ্বেই জেলায়-জেলায় ডাকাবুকো নেতা খুন, '২৬-এর ভোটের আগে চিন্তায় তৃণমূল

TMC leaders killed: গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জেলায় পরপর বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুনের অভিযোগ উঠেছে।

TMC leaders killed: গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জেলায় পরপর বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুনের অভিযোগ উঠেছে।

author-image
Joyprakash Das
New Update
 TMC Seeks Unique ID For Voter Cards : TMC Submits Memorandum Demanding Addition Of Unique Number In Voter ID Card Like Aadhaar Card: ভোটার আইডি কার্ডে ইউনিক নম্বর সংযোজনের দাবি তৃণমূলের

প্রতীকী ছবি।

TMC leaders Killed: না আছে এখন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন, নিদেনপক্ষে সমবায়, স্কুল কমিটি বা স্থানীয় স্তরের ভোট নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে, তা-ও নয়। তা সত্ত্বেও বাংলায় তিন দিনে তিন জন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে শুরু করে মালদার ইংরেজবাজার ও বীরভূমের সাঁইথিয়া। নিহত তিনজনই স্থানীয়স্তরে প্রভাবশালী নেতা বলে পরিচিত। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরাও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি। বিশেষ করে মালদা ও ইংরেজবাজারের খুনের ঘটনায়। তবে কেন এই রক্তক্ষয়? কেন খালি হচ্ছে মায়ের কোল?

Advertisment

তিন জন তৃণমূল নেতা খুনের বিষয়ে বিরোধী দল BJP বা বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও জোরালো অভিযোগ ওঠেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের অন্তর্কলহের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এলাকা দখলের জন্যই দলের দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে আসছে। পর পর খুনের ঘটনা ঘটছে। মালদার ক্ষেত্রে তো জেলা সভাধিপতি ও দলের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন খুনে অভিযুক্ত।

অন্যদিকে ভাঙড়ের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে অভিযুক্তকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের সঙ্গে ছবিতে দেখা গিয়েছে। যদিও বিধায়ক শওকত মোল্লা গ্রেফতার মোফাজ্জল মোল্লাকে তৃণমূলকর্মী বলতেই অস্বীকার করেছেন।

Advertisment

আরও পড়ুন- new governor: হরিয়ানার রাজ্যপাল হলেন বঙ্গ BJP-র প্রাক্তন সভাপতি! গোয়া, লাদাখও পেল নয়া সাংবিধানিক প্রধান

কিছু দিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর থেকে বেপরোয়া বিক্ষোভ দেখিয়েছে দলের একাংশ। মন্ত্রী নিজে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ তখন নীরব ছিল বলেও মন্ত্রী দাবি করেছেন। এই ঘটনার পর তিনি তোপ দেগেছিলেন খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। মন্ত্রী দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রেহাই মিলছে না খোদ মন্ত্রীদেরই। প্রকাশ্যে হেনস্থা হতে হচ্ছে দলের কর্মীদের কাছে।

আরও পড়ুন- West Bengal News live updates: নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, উত্তাল রাজপথে নজিরবিহীন বিক্ষোভ

অপরাধী দলের কেউ হলেও পার পাবে না বলেই বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বর। বিরোধীদের দাবি, খোদ যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পরপর খুন হচ্ছে, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তৃণমূল নেতাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে নিজেদের দলের অপর অংশের কাছে। সেখানে বিরোধীদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলেই তাদের বক্তব্য। 

আরও পড়ুন- ATM fraud:সাবধান হোন আজই! ATM কাউন্টারেই জালিয়াতির 'হাইটেক ফাঁদ'! মুহূর্তের ভুলেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা

এদিকে, বছর ঘুরলেই রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জেলায়-জেলায় পরপর দলের নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের অন্দরে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বও বারবার দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় ঘোর চিন্তায়। 

tmc Murder Bengali News Today