/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/birbaha-2025-10-09-17-07-16.jpg)
Birbaha Hansda: সাংবাদিকদের মুখোমুখি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
Tripura visit-cake controversy: রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কেক কাটা এবং খাওয়ানোর একটি ভিডিও ঘিরে তুমুল চর্চা ছড়িয়েছে। রাজ্য BJP-র অনেক নেতাই বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই কটাক্ষ করেছেন। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিজেপির অনেক নেতাই তৃণমূল প্রতিনিধি দলের ত্রিপুরা সফরকে কটাক্ষ করতে গিয়ে এই কেক-খাওয়া পর্বকেও জড়িয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এবার পাল্টা বিজেপিকে জবাব রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে আগরতলায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দলটিই গতকাল ত্রিপুরায় গিয়েছিল। তারই ফাঁকে গতকাল একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন- Lord Canning House: 'লর্ড ক্যানিং হাউস', ব্রিটিশ আমলের ঐতিহাসিক ভবন ঘিরে নানা কাহিনী আজও চর্চায়!
সেখানে দেখা যায় ত্রিপুরা সফরে যাওয়া তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা একটি ছোট কেক কাটছেন এবং সেটি তিনি খাইয়ে দিচ্ছেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ-সহ তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরা সফরে যাওয়া দলের অন্য প্রতিনিধিদের। সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়।
এরপরেই বিজেপির তরফে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের ত্রিপুরা সফরকে 'পর্যটনের সফর' বলে কটাক্ষ করা শুরু হয়। প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "ত্রিপুরায় কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে যান। কেক কেটে ত্রিপুরা বেড়াতে গিয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা। ট্যুরিজমে গিয়েছে। ট্যুরিজম করে ওখান থেকে চলে আসুক। ত্রিপুরা খুব ভালো জায়গা ঘুরে দেখুক। বিজেপির আমলে ওখানে বহু উন্নতি হয়েছে।"
BJP-র এই কটাক্ষে বেশ মানসিক আঘাত পেয়েছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "দল আমাকে নির্দেশ দিয়েছিল যে সবার সঙ্গে ত্রিপুরা আসতে হবে। আমি বাড়ির বাইরে, ভোর চারটের সময় বিমানবন্দরে পৌঁছেছি। খিদে পেয়েছিল, ফ্লাইটে ওঠার আগে আমি ভেবেছিলাম কিছু খাই, টিফিন করি। সেই হিসেবে আমি একটি ছোট কাপ কেক কিনেছিলাম।"
আরও পড়ুন-'SIR হলে ১ কোটি ২০ লক্ষ নাম বাদ', দাবি শান্তনুর, 'ক্ষতি মতুয়া উদ্বাস্তুদেরই' পাল্টা মমতাবালার
তিনি আরও বলেন, "আমার সহকর্মী যারা আমার সঙ্গে ত্রিপুরা এসেছেন তাঁরা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমার এঁঠো করা সেই কেক আমি আমার দাদা, দিদি এবং আমার সঙ্গে যাঁরা এসেছেন বন্ধুদের খাইয়েছিলাম। তবে যেভাবে এটাকে নিয়ে চর্চা করা হল আমার খারাপ লেগেছে। আমি আদিবাসী মেয়ে বলে হয়তো আমার কেক খাওয়াটা তাঁদের গায়ে লেগেছে।"
এদিকে, বীরবাহা হাঁসদার সঙ্গে ত্রিপুরা সফরে যাওয়া তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, "বীরবাহার জন্মদিন বলে আগরতলায় সেলিব্রেশনের কথা যাঁরা বলছেন তাঁরা সর্বৈব মিথ্যাচার করছেন, কুৎসা করছেন এবং নোংরামি করছেন। গতকাল বীরবাহার জন্মদিন ছিল। তার আগের দিন তিনি ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। গতকাল তিনি ঝাড়গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা হন এবং কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন।"
কুণালের কথায়, "বিমানবন্দরে আসার পর বেচারা একটা ছোট্ট কাপ কেক নিয়ে নিজের খিদের জন্য বসেছিল। সেখানে আমরা সহকর্মীরা বলেছি, হ্যাপি বার্থ-ডে! সে একটা ছোট কাপ কেক কিনে খেতে যাচ্ছিল, সেটাও আমাদের মুখে দিয়েছে একটা সৌজন্য করে। সেটা নিয়ে এত নোংরামি হতে পারে?"