Vishva Hindu Parishad protested the arrest of Chinmaykrishna Das: বাংলাদেশে হিন্দু নেতা তথা সনাতনী মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতারিতে এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিও তোলপাড়। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের বিদায়ের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত। এরই প্রতিবাদে এবার পশ্চিমবঙ্গের জেলায়-জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। আজ, বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল, শুক্রবার পথে নামতে চলেছে ভিএইচপি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বক্ষেত্রের সম্পাদক অমিয় সরকার বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে যে আশঙ্কা করেছিলাম তাই হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সেই সময় নিয়মিত যোগাযোগ হয়। সেই সময় আমরা প্রস্তুত হয়েছিলাম হিন্দু শরণার্থী এলে রাখার ব্যবস্থা-সহ নানা ইস্যু নিয়ে। আলোচনায় উঠে এসেছিল ১০ জন হিন্দু এদেশে এলে ১০০০ জন মুসলমানও ঢুকে যাবে। সেই কারণে সীমান্ত খোলা যাবে না। বরং ওখানকার হিন্দুদের সংঘটিত করতে হবে।"
বাংলাদেশ ইস্যুতে বিশেষ কৌশল নিয়েছে ভিএইচপি। কেন বারে বারে অত্যাচারের শিকার হয়ে জন্মস্থান ছেড়ে ভিন দেশে লোটাকম্বল নিয়ে পালাতে হবে? এই প্রশ্ন উঠে এসেছে। অমিয় সরকার বলেন, "বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্য দেশে কাজ আছে, বাংলাদেশেও কাজ আছে। ওখানকার হিন্দুদের সংঘটিত করার চেষ্টা করি। আওয়াজ ওঠে, পলায়ন নয় পরাক্রম। ইসকনসহ অন্য সংগঠন বাংলাদেশে সংবদ্ধভাবে লড়াই করছে। তাঁরা বীরত্বপূর্ণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশকে কড়া চিঠি দিয়েছে। ওরাও সেই চিঠির জবাব দিয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির একটা পটভূমি বাংলাদেশ থেকে তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের সঙ্গে আমাদের আত্মিক সম্পর্ক, আমরা ওই দেশের ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত।"
এর আগে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। কলকাতায় পথে নেমেছে অন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অমিয় সরকার বলেন, "আজ থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সমস্ত জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে। আজ ও কাল বিক্ষোভ চলবে। বজরং দল, দুর্গাবাহিনীও থাকছে। সারা দেশে চলবে বিক্ষোভ। আজ হিন্দু জাগরণ মঞ্চও পথে নেমে প্রতিবাদ করছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য, দুই সরকারকে চাপে রাখতে হবে।" তাঁর প্রশ্ন, "রাজ্য সরকার কেন চুপ? তাঁদের বক্তব্য কি? আমরা চাই তা মানুষের সামনে তুলে ধরুক।"
হিন্দু সন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাশাপাশি বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবিও রেখেছেন তাঁরা। দুদিন আগে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে এই গ্রেফতারি ইস্যুতে চিঠি দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশও সেই চিঠির জবাব দিয়েছে। তবে সেই চিঠির জবাবে ভারত সরকার সন্তুষ্ট নয় বলেই বিশেষ সূত্রের খবর। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক্স হ্যান্ডেলে বাংলাদেশকে কটাক্ষ, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছে। অমিয় সরকারের বক্তব্য, "ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর চিত্রপটের পরিবর্তন হবে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও ঠিক থাকবে। কিন্ত বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের উদ্দেশ্য সফল হবে না।" "প্রমাণিত যে একজন জেহাদীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে," দাবি করেছেন অমিয় সরকার।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: সাতসকালে খাস কলকাতায় কাঁড়ি-কাঁড়ি 'টাকা' উদ্ধার! STF-এর জালে ১