/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/06/21-july-tmc-hording-2025-07-06-14-32-17.jpg)
ইডি অভিযানে মমতা ঘনিষ্ঠ দাপুটে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার থেকে টাকার পাহাড়
পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় মন্ত্রী সুজিত বোসের অফিসসহ ১৩টি স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপূল পরিমাণ নগদ ও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য,পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শুক্রবার কলকাতা ও সংলগ্ন ১৩টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চালিয়ে একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অভিযান চালানো হয় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে বিধায়ক সুজিত বোসের অফিস এবং তার সংস্থার বিভিন্ন প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন- 'বাংলা এখন ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্যে',দুর্গাপুর গণধর্ষণ নিয়ে মমতা সরকারকে বেনজির আক্রমণ
ইডি সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দায়ের করা সিবিআই এফআইআরের ভিত্তিতে শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে উঠে এসেছে যে, শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় ঝাড়ুদার, কেরানি, ড্রাইভার, পাম্প অপারেটর এবং অন্যান্য পদেও নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, মেসার্স এবিএস ইনফোজন প্রাইভেট লিমিটেড, যার ডিরেক্টর অয়ন শীল, বহু পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড।এই কোম্পানির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছাপা, ওএমআর শিট তৈরি, প্রার্থীদের নম্বর যাচাই এবং মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হতো। ইডি জানিয়েছে, অয়ন শীল ও তার টিম রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে 'অযোগ্য' প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি নিশ্চিত করত।
আরও পড়ুন- বাংলায় SIR নিয়ে ব্রেকিং আপডেট, দিনক্ষণ নিয়ে কী জানালো নির্বাচন কমিশন?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি অয়ন শীলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে। সেই সকল নথি থেকে থেকে জানা যায়, অয়ন শীলের নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগে নয়, বরং বহু পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিরও মাস্টারমাইন্ড। এর আগে ইডি সুজিত বোস এবং রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রথীন ঘোষের প্রাঙ্গণেও অভিযান চালিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা।
এই মামলায় ইডি কলকাতার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। ইডি এখন তদন্ত চালাচ্ছে যে, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেন হয়েছে। ইডি কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত এখনও চলছে এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইডি অভিযান নিয়ে মুখ খুলেছেন সুজিত বোস। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তিনি বলেন, “প্রতি নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো এই ধরনের অভিযান চালায়। এটা নতুন কিছু নয়। আগেও তল্লাশি হয়েছে এবং কিছুই প্রমাণিত হয়নি। নির্বাচনের আগে চাপ সৃষ্টি করতেই এমন কৌশল।”
আরও পড়ুন- রাজ্যে এমবিবিএস ছাত্রী গণধর্ষণকাণ্ডে আটক সহপাঠী, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের