/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/12/bengal-sir-2025-10-12-08-59-30.jpg)
রাজ্যে SIR নিয়ে ব্রেকিং আপডেট, কী জানালো নির্বাচন কমিশন?
Election Commission: রাজ্যে আপাতত শুরু হচ্ছে না ভোটার তালিকার Special Intensive Revision (SIR) প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন অধিকর্তা (CEO)-এর দফতরের সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ পুনর্বিবেচনা কার্যক্রম নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে এমবিবিএস ছাত্রী গণধর্ষণকাণ্ডে আটক সহপাঠী, রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের
রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অক্টোবরে শুরু হবে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) অফিস সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে SIR শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। CEO অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার পরেও অক্টোবরে রাজ্যে বেশ কয়েকটি উৎসব রয়েছে। দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছট এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর পাশাপাশি ১৮ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি ছুটি। তাই, এই সময়ের মধ্যে SIR বাস্তবায়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই SIR অক্টোবরের পরে, নভেম্বরে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। উল্লেখ্য শহরে সম্প্রতি এক বৈঠকে, উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী কর্মকর্তাদের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে SIR এর প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর পর থেকেই টানা উৎসবের মরসুমে রয়েছে রাজ্য। তিনি বলেন, “অক্টোবরে দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছটপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। ১৮ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের টানা ছুটি চলছে। এই সময়ে SIR কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুজোর পরই এটি চালু করা হবে।”
আরও পড়ুন- ইটবৃষ্টি, মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তোলপাড় ফেলা ঘটনায় বিরাট 'অ্যাকশন' পুলিশের
উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর দু দিনের রাজ্য সফরের পর কমিশন কাজের গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবিষয়ে কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “SIR গোটা দেশজুড়ে চলছে। অন্যান্য রাজ্য কাজ শেষ করেছে বা শেষের পথে। পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়লে জাতীয় পর্যায়ে জটিলতা তৈরি হবে। তাই সাত দিনের বেশি দেরি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।”
এদিকে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেন, ২২৬ জন ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)–এর নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী হয়নি। তাঁর বক্তব্য, “এই অনিয়ম রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।” তিনি অবিলম্বে সংশোধনমূলক পদক্ষেপের দাবি জানান।কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ERO বা সহকারী ERO নিয়োগের নিয়ম কোনও অবস্থাতেই পরিবর্তন করা হবে না। কমিশনের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, “কমিশনের বার্তা পরিষ্কার—প্রক্রিয়াগত ত্রুটি বা নিয়মভঙ্গ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
ইলেকশন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের স্থায়ী সরকারি কর্মচারী, বিশেষত সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদেরই বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্থায়ী কর্মী পর্যাপ্ত না থাকলে তবেই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে সেই ক্ষেত্রে জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিককে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অনুমোদন নিতে হবে। পাশাপাশি ERO নিয়োগের ক্ষেত্রেও কঠোর মানদণ্ড প্রযোজ্য। যোগ্য আধিকারিকদের পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (WBCS)–এর এক্সিকিউটিভ ক্যাডার থেকে বাছাই করতে হবে, এবং তাঁদের পদ মর্যাদা সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (SDM), সাব-ডিভিশনাল অফিসার (SDO) বা রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার (RDO)-এর সমতুল্য হতে হবে। কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নির্ধারিত মানদণ্ড বজায় রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য থাকে।