/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/11/cats-2025-09-11-12-35-00.jpg)
বেঁচে আছেন দিব্যি, কিন্তু ভোটার তালিকায় মৃত, তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা
বাংলায় এখনও এসআইআর(SIR) লাগু হয় নি। তার আগেই সামনে আসতে শুরু করেছে ভোটার তালাকার নানা ভুতুড়ে কাণ্ড। যে ব্যক্তি এখনও বেঁচে আছেন,দিব্যি হেঁটে চলেও বেড়াচ্ছেন, সেই ব্যক্তি’ই মৃতর পরিচয় পেয়ে গিয়েছেন ভোটার তালিকায়। এমন কি ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নামও কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। না,এটা নিছক গল্প কথা নয় ! বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী স্বরডাঙ্গায়। এমন ঘটনায় বিপাকে পড়ে গিয়ে স্বরডাঙ্গার বাসিন্দা খোকন দাস প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনা নিয়ে শাসক-বিরোধী রজনৈতিক তরজা এখন তুঙ্গে উঠেছে।
আরও পড়ুন- রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ফের উপহার মমতার, এবার পুজোর আগেই বড় চমকের ঘোষণা
পূর্বস্থলীর কালেখাঁতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত স্বরডাঙ্গা নিবাসী প্রৌঢ় খোকন দাসের ভোটার কার্ড নম্বর TFM2554046,পার্ট নং ২০০। খোকন দাস জানিয়েছেন,“৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তাঁর নাম ভোটার তালাকায় নথিভুক্ত ছিল। ইতিপূর্বে হওয়া প্রতিটি ভোটে তিনি যথারীতি ভোটও দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও দীর্ঘদিন ধরে একই পার্টের ভোটার। ভোটার তালিকায় তাদের নামও রয়েছে। কিন্তু এখনো অবধি শেষ যে ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে তাঁকে মৃত দেখিয়ে ৬৪১ নম্বর স্লিপ থেকে তাঁর নাম কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনায় ধাক্কা, বিকল্প 'ডেস্টিনেশনের' খোঁজে মরিয়া প্রয়াস ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির
এমন ঘটনায় বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছেন খোকন দাস । ঘটনার বিহিত চেয়ে এবং পুনরায় তাঁর নাম যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ,তার জন্য তিনি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কালেখাঁতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতেও লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
আবেদনপত্রে খোকন দাস লিখেছেন,“আমি বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছি। এখনও আমি বেঁচে আছি। তবুও হঠাৎ করেই আমাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমি বিপাকে পড়ে গিয়েছি'।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: উৎসবের মরসুমে নাশকতার বিরাট ষড়যন্ত্র ফাঁস, গ্রেফতার ৫ সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গি
ঘটনা প্রসঙ্গে কালেখাঁতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ দে বলেন,“ চক্রান্তের কারণে এমনটা হতে পারে। আরও কেউ এমন সমস্যায় পড়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আমি খোকনবাবুকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছি"।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক তরজা। এলাকার বিজেপি নেতা সমর দাস ঘটনার সমালোচনা করে বলেন,“জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে নাম কেটে দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্টই আশ্চর্য্যের।বাংলায় ভোটার তালিকা তৈরির কাজ থেকে শুরু করে নির্বাচনী নানা কাজে শাসক দলের স্নেহধন্য সরকারি কর্মীরা যুক্ত আছে। এ সব তাদের কীর্তি কি না তার তদন্ত হওয়া দরকার। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবেন বলে সমর দাস জানিয়েছেন।" যদি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু বলেন,“যে কোনও ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতারা সাধু সাজতে চায় । কিন্তু ওরা মোটেই সাধু নয়। এইসব কাজে ওরা অনেক বড় চক্রান্তকারী।সেই কারণেই তো ওরা বাংলায় এসআইআর চাইছে"।