ক্রমশই বাড়ছে করোনার গ্রাস। রবিবারে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল হাজার। এই মুহুর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৪। পাশপাশি বাড়ল মৃত্যু সংখ্যা ২৭ ছুঁল দেশে। এখনও পর্যন্ত কেরল এবং মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
রাজ্যে এই প্রথম! নভেল করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন এক চিকিৎসক। নাইসেড সূত্রের খবর, কলকাতার আলিপুরের কমান্ড হসপিটালের অ্যানেসথেসিস্ট ওই চিকিৎসক দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন কলকাতায়। শনিবার রাতে তিনি অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্টে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানান হয়েছে। এই মুহুর্তে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০।
এদিকে, 'করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পথ। কিছু মানুষ তা অগ্রাহ্য করে নিয়ম ভাঙলে করোনা থেকে বাঁচা মুশকিল।' মন কি বাতে শুরুতেই একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অসুবিধায় সত্ত্বেও প্রত্যেক দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন জানান তিনি।এদিকে, লকডাউনের প্রবল সমস্যায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। নিয়ম ভেঙে বাড়ি ফিরতে তারা ভিড় জমাচ্ছে বাস গুমটিতে। অনেকেই আবার কয়েকশো পথ হেঁটে বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্য স্থির করেছেন। কেন্দ্র- সব রাজ্যকে পরিযায়ী শ্রমিক ও দুস্থদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে।গত দু'দিনে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১০ থেকে বেড়ে ১৮। শনিবারও করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক উপস্থিতি পাওয়া গেল রাজ্যের দুই মহিলার দেহে। এগরার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই মহিলা।
Read full story in English
Live Blog
Corona Lockdown Situation Live Updates. করোনা লকডাউনের সব খবর জানতে চোখ রাখুন লাইভ আপডেটস-এ...
অত্যাবশ্যকীয় পরিষবা ছাড়া লকডাউনে বন্ধ সবকিছু। আর এতেই বিপাকে নেশাগ্রস্তরা। মদ না মেলায় কেরালার আত্মহত্যা করলেন পাঁচজন। গত শনিবার একই কারণে মল্লপূরাণে দুই ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গত পাঁচদিনে নেশা ছাড়ানোর কেন্দ্রগুলিতেও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্বে বেশ কয়েকবার রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ করেছে কেরালা প্রশাসন। তবে, তা সম্পূর্ণ কার্যকর করা যায়নি। লকডাউনের ফলে বন্ধ রাজ্যের সব মদের দোকান। ফলে, বেড়েছে নেশাগ্রস্তদের অপ্রকৃতস্থ আচরণ। তটস্থ তাদের বাড়ির সদস্যরা। করোনা মোকাবিলার মাঝে যা এক বাড়তি উদ্বেগ বলেই মনে করছে কেরালা প্রশাসন। বিস্তারিত পড়ুন
লকডাউনে হেঁটেই গ্রামমুখী হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। এইসময় যেসব পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে বাড়ি ফিরছেন তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বললো কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লকডাউন ভেঙে যারা পথে চলছেন তাদের আবশ্যিকভাবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন থাকতে হবে। রাজ্য সরকারগুলিকেই সম্পূর্ণ তথ্য রাখতে হবে। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা আতঙ্ক জারি। তারই মধ্যে গ্রামের সাত যুবক ফিরেছেন চেন্নাই থেকে। সতর্ক গ্রামবাসীরা প্রশাসনের সহায়তায় ওই সাত যুবককে প্রথমেই পাঠায় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা হোম কোয়ারেন্টানে থাকতে বলেন ওই সাত জনকে। কিন্তু, মাটির বাড়িতে থাকার ঘর নেই। অগত্যা, গাছেই মাচা করে হল কোয়ারেন্টাইন। গত কয়েকদিন ধরে সেই মাচাতেই বাস চেন্নাই ফেরত যুবকদের। পুরুলিয়ার বলরামপুরের ভাঙিডি গ্রামে গেলেই এখন এই দৃশ্য চোখে পড়বে। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা মোকাবিলায় রাজনৈতিক উর্ধ্বে গিয়ে লড়াইয়ের আর্জি জানালেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশংসা করেন তিনি। লেখেন, 'রাজ্য এবং কেন্দ্র যেভাবে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে তা প্রশংসাযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় উদাহরণ তৈরি করেছেন। রাজ্য়কে ১০ হাজার করোনা পরীক্ষার সামগ্রী পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কঠিন সময়ে লড়াই চালাতে হবে।'
Nation rising to face #coronovirues. In togetherness @narendramodi. @MamataOfficial set an example. Am in touch with CM/Centre. 10,000 coronavirus testing kits sent by Centre to Bengal. Let’s be ultra cautious as we face uphill task. Time to avoid politics - in efforts/conduct.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 29, 2020
নিজেদের জীবন বাজি রেখে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে চলছেন চিকিৎসক, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল কর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মী, নিকাশী কর্মী ও অত্যাবশকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিগণ। এদিন টুইটে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
I would like to convey my heartfelt gratitude & appreciation for all the Doctors, Nurses, Paramedical Staff, Police Personnel, Govt. Officials, Emergency Response Personnel, Sanitation Workers & Volunteers who have come forward in this hour of need to fight the COVID-19 (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 29, 2020
নদিয়ার তেহট্টে ৫জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় এলাকায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ৮ জনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তবে তেহট্টের মানুষের আতঙ্ক দূর করতে জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রিংকলার গাড়ি ও হ্যান্ড মেশিন পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বিস্তারিত পড়ুন
দেশব্যাপী করোনাভাইরাস জনিত ২১ দিনের লকডাউন চলাকালীন এই মহামারীর মোকাবিলায় উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। যে পদক্ষেপটি সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে, তা হলো আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা। ভারতীয় রেল তো প্রত্যন্ত এলাকায় এবং গ্রামাঞ্চলে ট্রেনের মধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে। এইসব পদক্ষেপ মাথায় রেখে এক নজরে দেখে নেওয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির প্রস্তুতি-উপাদান (লজিস্টিকস) সম্পর্কে ঠিক কী বলেছে। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা শুধু দেশের ত্রাস নয়, বিশ্বেরও। মারণভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে লকডাউনে গিয়েছে বহু দেশ। সেই আবহে কন্ডোম উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেন কন্ডোম উৎপাদনকারী বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলি। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ার একটি কন্ডোম উৎপাদনকারী সংস্থা কারেক্স বিএইচডি। বিশ্বে পাঁচটি কন্ডোম সংস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম এই সংস্থার। কিন্তু চিন হয়ে মালয়েশিয়ায় আসা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে সে দেশেও। ফলে দু’সপ্তাহ ধরে একটি কন্ডোমও প্রস্তুত করতে পারেনি এই সংস্থাটি। বিস্তারিত পড়ুন
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য এবং দেশে জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শনিবার জরুরীকালীন ত্রাণ তহবিল ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে মোদী বলেন, “করোনার থাবা থেকে দেশকে সুস্থ করতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা এই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”নরেন্দ্র মোদী টুইটারে এও বলেন, “যারা এই করোনা ভাইরাসের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কিছু দান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ। এই চিন্তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।” বিস্তারিত পড়ুন
করোনার মারণভাইরাসের থাবা যেন ক্রমেই চেপে বসছে রাজ্যে। শনিবারও করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক উপস্থিতি পাওয়া গেল রাজ্যের দুই মহিলার দেহে। এগরার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই মহিলা। বায়ুবাহিত এই রোগের দাপটে এখনও পর্যন্ত বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। মৃত ১। লকডাউনের দিন যত এগোচ্ছে, ততই শক্তিশালী হচ্ছে করোনাভাইরাস। আতঙ্ক ছাপিয়ে এখন ভীতসন্ত্রস্ত রাজ্যবাসী। করোনায় আক্রান্ত উত্তরবঙ্গের এক ব্যক্তি। শনিবার তিনটি পজিটিভ রিপোর্ট আসে নাইসেড থেকে। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা মোকাবিলায় একজোটে লড়াইয়ের আশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় সাহায্যের। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন মোদী। একই সঙ্গে লকডাউনে বাংলায় অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষা ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলাকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিস্তারিত পড়ুন
বিশ্বে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৩০ হাজার। ইতালিতে মৃতের সংখ্য়া ১০ হাজার পেরিয়েছে। মোট আক্রান্ত ৯২ হাজার। স্পেনে আক্রান্ত ৭৩ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৫,৯০০ জনের। আক্রান্তের নিরিখে সবার উপরে আমেরিকা। এক লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত। জনের মৃত্যু হয়েছে ২,২০০ জনের।
যুক্তিপূর্ণ কারণ ছাড়া লকডাউন অগ্রাহ্য করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। মহামারি আইনে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। এক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তির ৬ মাসের হাজতবাস বা হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। কলকাতা পুলিশও জারি করেছে কড়া বার্তা।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজার। পঞ্চম দিনের লকডাউনে রবিবার ফের বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২১ দিনের এই লকডাউন সময়কালে যাবতীয় জরুরি এবং অ-জরুরি পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই মর্মে এদিন নয়া ছাড়ের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। সবিস্তারে পড়ুন: লকডাউনে দেশজুড়ে যাবতীয় পণ্য পরিবহনের অনুমতি কেন্দ্রের
ক্রমশই বাড়ছে করোনার গ্রাস। রবিবারে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল হাজার। এই মুহুর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৪। পাশপাশি বাড়ল মৃত্যু সংখ্যা ২৭ ছুঁল দেশে। এখনও পর্যন্ত কেরল এবং মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
রাজ্যে এই প্রথম! নভেল করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন এক চিকিৎসক। নাইসেড সূত্রের খবর, কলকাতার আলিপুরের কমান্ড হসপিটালের অ্যানেসথেসিস্ট ওই চিকিৎসক দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন কলকাতায়। শনিবার রাতে তিনি অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্টে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানান হয়েছে। এই মুহুর্তে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০।
করোনায় জর্জরিত বাংলায় এবার সুসংবাদ। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার পথে রাজ্যের প্রথম তিন করোনা আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষার পর আক্রান্ত ওই ৩ জনের শরীরের কোনও সংক্রমণ মেলেনি। বিস্তারিত পড়ুন: বাংলার তিন করোনা আক্রান্ত সুস্থতার পথে
নদিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৫ জন তেহট্টের বার্নিয়ায় যে বাড়িতে এসেছিলেন, সেই মোহন মন্ডলের বাড়ি ও তার আশেপাশের সমস্ত এলাকা স্যানিটাইজ করল তেহট্ট মহকুমা প্রশাসন। রবিবার মোহন মন্ডলের বাড়ি স্যানিটাইজ করার জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের গাড়ি আসে বার্নিয়ায়। কড়া সতর্কতা অবলম্বন করে দুই কর্মী সমস্ত এলাকা স্যানিটাইজ করেন। মহকুমা প্রশাসনের এহেন উদ্যোগে কিছুটা স্বস্তিতে বার্নিয়া বাসী।
ছবি- মৌলিক কান্তি মন্ডল
আরামবাগ গৌরহাটি মোড়ে দুঃস্থদের চাল, ডাল, আলু বিতরণ করল স্থানীয় বৃহন্নলা সমাজ। প্রত্যেককে রেশন দেওয়ার পাশাপাশি নগদ টাকাও দেওয়া হয় । এই বিষয়ে ওই সমাজের প্রধান বুল্টি মাসী বলেন, '১০০ জনকে আমরা এই রেশন তুলে দিলাম । করোনা আতঙ্কের জেরে দুঃস্থরা খেতে পাচ্ছে না । তাঁদের অবস্থা দেখে আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এই ব্যবস্থা করেছি।' গতকাল সিঙ্গুরে বৃহন্নলা সমাজের প্রধান পাখী সাউ মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ ১০০০ টাকা ব্যক্তিগত ভাবে দান করেন । উল্লেখ্য কিছুদিন আগে এই সিঙ্গুরের বৃহন্নলা সমাজ রাস্তায় নেমে মাস্ক বিলিও করেছিল।
ছবি- উত্তম দত্ত
৭২৪ থেকে ৯১৮, সেখান থেকে আগামী ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের তালিকায় জুড়ল আরও ১০৬টি নাম। আরও ৬ জনের মৃত্যু দেখল ঘরবন্দী ভারত। রবিবার সেই সংখ্যাই প্রকাশ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে কী করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়ে গেল? যদিও এ বিষয়ে এখনও কিছু বিস্তারিত জানায়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
একদিকে এলাকায় সচেতনতার বার্তা সঠিক সময়ে না পৌঁছানোর অভিযোগ, আরেকদিকে সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায় ক্রমশ ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করায় করোনা আতঙ্কে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সরকারি কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কোনরকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উপচে পড়ছে ভিড়। শ্রমিকেরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। দেশে ফিরেই তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে নিজেদের শরীর পরিক্ষা করানোর জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তবে ভিড় দেখে এলাকার মানুষ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঠিক পরিষেবা দিতে না পারায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিকেরাও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
ছবি- পরাগ মজুমদার