দিল্লির ৬টি বড় হাসপাতালের অন্তত সাড়ে সাতশো চিকিৎসক, শতাধিক নার্স এবং প্যারামেডিক করোনায় আক্রান্ত হয়েচেন। যদিও তাঁদের অধিকাংশেরই হালকা উপসর্গ রয়েছে। তাঁরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে এর জেরে রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই রুটিন ক্লিনিক এবং সার্জারির সংখ্যা কমাতে হয়েছে।
Advertisment
দিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা AIIMS-এ জোর ধাক্কা করোনার। AIIMS-এর অন্তত সাড়ে তিনশো আবাসিক চিকিৎসক আইসোলেশন রয়েছেন। এছড়াও AIIMS-এক বেশ কয়েকজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং নার্সও করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এক ফ্যাকাল্টি মেম্বার বলেন, ''এখানে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অধিকর্তার কার্যালয়ের অনেকে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। গতবারের মতো এবার ভাইরাসটির হানা ততটা জোরালো নয়।''
AIIMS-এর এক আধিকারিক বলেন, "রোগী পরিষেবায় সবরকম ব্যবস্থা মসৃণ গতিতে চালাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, নার্সিং, প্রযুক্তিগত অন্য বিষয়গুলি পুনরায় সুদৃঢ় করা হয়েছে।'' তবে করোনা হানায় AIIMS-এর এক চিকিৎসক বলেন, ''হাসপাতালের ওপিডিতে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া কমানো হয়েছে। পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা রাখতে শুক্রবার থেকে সমস্ত রুটিন ভর্তি এবং সার্জারি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার যাঁরা করোনা আক্রান্ত রোগী বা সহকর্মীদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কারণ এবারের উপসর্গগুলি খুবই হালকা।''
AIIMS সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের কমপক্ষে একশো স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত চারশোর বেশি কর্মী কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালেই ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের ২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার।
হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক বলেন, ''অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগে দুই বা তিনজন আবাসিক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা কোভিড ওয়ার্ডেই ডিউটিতে ছিলেন। হাসপাতালের তিনভাগের একভাগ চিকিৎসক ও নার্স করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একসঙ্গে এত স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্বভাবতই স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।''