যা অতিমারীর এক বছরে হয়নি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তেমনটাই হল। ফের করোনা থাবায় আক্রান্ত হল মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৮৮৩। যা কোনও রাজ্যের জন্যই রেকর্ড এখনও। মহারাষ্ট্রের জন্য তো বটেই। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছিল ২৪ হাজার ৮৮৬। এদিনের সংখ্যা সেটিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
তবে শুধু উদ্ধব ঠাকরের রাজ্য নয়, দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব। যেমন- পাঞ্জাবে (২৩৬৯), কর্ণাটকে (১২৭৬), তামিলনাড়ুতে (৯৮৯), মধ্যপ্রদেশে (৯১৭) এবং হরিয়ানা (৬৩৩)। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সেখানেও অনেকটাই বেশি এখন। এই চিত্র থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে।
আরও পড়ুন, করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এ পুন:সংক্রমণ কম! খুব সতর্ক থাকতে হবে ষাটোর্ধ্বদের
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। দেড় মাস বাদে বিহারে বৃহস্পতিবার এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে চিন্তা বৃদ্ধি করছে মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। গত বছরের নভেম্বরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এটি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। এখন এই করোনা ঢেউ যে দ্রুত ছড়াচ্ছে তার প্রমাণ ৯ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩ হাজারের নীচে। ৪০ দিনের মধ্যে দৈনিক আক্রান্ত পেরিয়ে গেল ২৫ হাজার। গত এক সপ্তাহের মধ্যে আরব সাগর পাড়ের রাজ্যটিতে বাড়ছে অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন