/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/16/sangram-mukherjee-2025-09-16-22-34-12.jpg)
মোহনবাগানের খেলা দেখে চূড়ান্ত হতাশ সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়
Mohun Bagan Super Giant: পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামা এনওয়ার অ্যানায়েভের গোলে লন্ডভন্ড হয়ে গেল সাধের বাগান। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে পরাস্ত হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অনেক আশা নিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ (AFC Champions League 2) অভিযান শুরু করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু, শুরুতেই যে তারা এভাবে ধাক্কা খাবে, সেটা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। এই পরাজয়ের পর হতাশায় ভেঙে পড়লেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কাস্টোডিয়ান সংগ্রাম মুখোপাধ্যায় (Sangram Mukherjee)।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১৯ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড যখন মাঠে নামেন, তখন ৭৯ মিনিটের খেলা হয়ে গিয়েছে। আর মাঠে নামতে না নামতেই ম্য়াজিক দেখালেন তিনি। চার মিনিটের মধ্যে আহালের অপর পরিবর্ত ফুটবলার বাসিম গুরবানবেরদিয়েভ একটা মাপা থ্রু বল বাড়ান। সেই বল পেয়ে বাঁ-পায়ে অ্যানায়েভ গোলমুখী একটা শট মারেন। বলটা বটম রাইট কর্নার দিয়ে বাগানের জালে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে কার্যত শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
হতাশায় ভেঙে পড়লেন সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়
খেলার শেষে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সংগ্রাম মুখোপাধ্যায় বললেন, 'মোহনবাগান দলে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। তবে ওরাও (আহাল এফকে) অ্যাওয়ে ম্য়াচ খেলতে এসেছে। দুটো দলই দেশের জন্য খেলছে। আমিও আগে এএফসি টুর্নামেন্ট খেলেছি। প্রতিপক্ষ দল যথেষ্ট কঠিন ছিল। আশা করছি, পরের ম্য়াচে মোহনবাগান হয়ত কামব্যাক করতে পারবে। সবেমাত্র মরশুম তো শুরু হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ গ্রুপ পর্বের ম্য়াচ চলবে।
এরপর তিনি বললেন, 'তবে একটা কথা অনস্বীকার্য যে এই হারের কারণে মোহনবাগানের পরবর্তী ম্য়াচটা বেশ কঠিন হয়ে গেল।' উল্লেখ্য, মোহনবাগানের সঙ্গে এই গ্রুপ সি'তেই রয়েছে ইরানের ফুটবল ক্লাব সেপাহান এসসি। আগামী ২১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মেরিনার্সরা। একে তো প্রথম ম্য়াচে হার, তার উপরে দ্বিতীয়টা আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ। এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে মোহনবাগান করতে পারে, সেটাই আপাতত দেখার।
মোটের উপর কেমন পারফরম্য়ান্স করল মোহনবাগান?
তুর্কমেনিস্তানের ফুটবল ক্লাব আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে মোহনবাগান সেভাবে কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বললেই চলে। এই ম্য়াচটা তারা ২-০ গোলে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। ৩২ মিনিটে এলমানের শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। এক্ষেত্রে বিশাল সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
যদিও ৬৯ মিনিটে ২০২৪-২৫ আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের কাছে গোল করার একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। দিমিত্রি পেত্রাতোল এবং জেসন কামিংস জুটি বক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা জেমি ম্যাকলারেনকে বলটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, আহালের তরুণ গোলরক্ষক কাকাগেলদি বারডিয়েভ দুর্দান্ত একটা সেভ করেন। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকারের শট আটকে যায়।
এই ম্যাচে মোহনবাগানের আক্রমণ সেভাবে চোখেই পড়ল না। চোটের কারণে ম্য়াচটা খেলতে পারেননি মনবীর সিং। বাগানের হারের পিছনে এটা অন্যতম বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি দুটো উইংকেও মেরিনার্সরা সেভাবে কাজে লাগাতে পারল না। এছাড়া ডিফেন্সে তো একাধিক দুর্বলতা চোখে পড়েছে। গোটা ম্য়াচ জুড়েই বাগানের রক্ষণ রীতিমতো চাপে ছিল।