New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/21/mamata-21-july-2025-07-21-16-33-36.jpg)
একুশের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Photograph: (পার্থ পাল)
21 July Martyrs Day Rally: ২১ জুলাই দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে এসেছেন দলের মহিলা কর্মীরাও। দলনেত্রী মহিলা ক্ষমতায়নের পক্ষে বারে বারে সওয়াল করেন। দলে একাধিক মহিলা সাংসদও রয়েছেন। এদিকে শহিদ দিবসে আসা তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
একুশের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Photograph: (পার্থ পাল)
21 July Martyrs Day Rally: রাজ্য সরকারের ৯৪টা সামাজিক প্রকল্প চলছে। যা সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য় করছে। সোমবার ধর্মতলায় শহিদ দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৯৪টা সামাজিক প্রকল্পের কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, "আমাদের সরকারে ৯৪টা স্কিম। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, খাদ্যসাথীর মাধ্যমে বিনেপয়সায় রেশন। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, বাংলার বাড়ি প্রকল্প আছে।" একদিকে আরজিকর কান্ড থেকে কসবা কান্ড, আইনশৃঙ্খলা নানা ইস্যুতে বিরোধীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তৃণমূলের ভরসা জায়গা সামাজিক প্রকল্প, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে রাজ্যে মহিলাদের একটা বড় অংশ লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়ায় সরসারি সমর্থন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
২১ জুলাই দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে এসেছেন দলের মহিলা কর্মীরাও। দলনেত্রী মহিলা ক্ষমতায়নের পক্ষে বারে বারে সওয়াল করেন। দলে একাধিক মহিলা সাংসদও রয়েছেন। এদিকে শহিদ দিবসে আসা তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
সুরাইয়া সরকার প্রতিবছর ধর্মতলায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে। তা শুনে ফিরে গিয়ে অন্যদের বোঝাবেন তিনি। এবারও শহিদ দিবসে এসেছেন মেখলিগঞ্জের সুরাইয়া। তিনি বলেন, "আমি দার্জিলিং মেলে এসেছি। দিদির দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমিয়ে আমি এসেছি। দিদিকে অসংখ্য ধন্য়বাদ। আমার স্বামী ১০টাকা দিতে চায় না, সেখানে দিদি মাসে ১হাজার টাকা দেয়। দিদির পাশে সবসময় থাকবো।"
কেউ কেউ আবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানোর আবেদনও করছেন। নদীয়ার কল্যানীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আসা মহিলা তৃণমূল কর্মী বলেন, "আমরা সবাই চাকরি করি না। ১২০০টাকা দিয়ে ইচ্ছামত খরচ করতে পারি। বরের কাছে হাত দিতে হয় না। আমরা মায়ের জাত, সংসার পরিচালনা করি। আমরা পার্টি করতে পারি, সন্তান মানুষ করতে পারি। লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য় স্বামীরা চাপে রাখতে পারেনি। দিদি থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার আরও বাড়বে। ১২০০ থেকে দেড় টাকা হলে অনেক ভালো হবে।" লাটাগুড়ির জয়া বর্মন বলেন, "টাকা বাড়লেই লাভ তো হবেই। তার জন্যই দিদিকে সমর্থন।"
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য় অনেক আসনেই ফায়দা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতৃত্বও সেকথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লক্ষ্মীর ভান্ডার ৩০০০টাকা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে যতগুলি সামাজিক প্রকল্প আছে তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলা ভোটের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই নির্ভরশীল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ওপর।