TMC Inner Clash: ১৪ দিনে ৬জন খুন। তার মধ্যে ২১ জুলাই শহিদ দিবসও পালন হল ধর্মতলায়। এরা সবাই তৃণমূল নেতা বা কর্মী-সমর্থক। ২০২৬ বিধানাসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূল কর্মী ষষ্টী ঘোষকে বাইক থামিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এদিকে কাকদ্বীপে তৃণমূল নেতার ভাইপো রাকিব শেখের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছে।
১০ জুলাই ভাঙড়ে খুন হন চালতাবেড়িয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রাজ্জাক খান। তাঁকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায়ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোফাজ্জল মোল্লাকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার আজহারউদ্দিন মোল্লাও তৃণমূল কর্মী। তিনি গতবছর আইএসএফ থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাজার কমিটির দখলের জন্যই এই খুন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ওই দিন মালদার ইংরেজবাজারে খুন হন তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদ। এর আগে মালদায় খুন হয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি বাবলা সরকার। ওই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মালদা শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি। আজাদের খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে দলের অন্য গোষ্ঠীর দিকে। ওই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মাইনুল শেখকে। অনুষ্ঠান বাড়িতে পিটিয়ে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় আজাদকে।
এই সময়ের মধ্যে বীরভূমে দুটি খুনে ঘটনা ঘটেছে। বীরভূমের ময়ুরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শাকিলা বিবির স্বামী তৃণমূল নেতা বাইতুল্লা শেখকে পর পর বোমা মেরে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমরে মল্লারপুর থানার বিশিয়া গ্রামে। এর আগে বীরভূমের সাঁইথিয়ার শ্রীনীধিপুরে তৃণমূল নেতা খুন হন। অঞ্চল সভাপতি পিযুষ ঘোষ খুন হন।
গত ১৪ দিনে একের পর এক তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। গোষ্ঠীকলহের চিত্র তো রয়েছে। দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেছেন, "স্বামীকে যারা খুন করেছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও তৃণমূলেই আছেন।" সম্প্রতি এই ৬ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপি নেতারা বলে চলেছে মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই লাগাতার খুন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।