Most Controversial Incidents During WB Lok Sabha Election 2019: অশান্তির আবহেই বাংলায় মিটল লোকসভা নির্বাচন। এবার ‘নজিরবিহীন’ ভাবে ৭ দফায় ভোট হয়েছে পশ্চিমবাংলায়। বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করতে মরিয়া ছিল নির্বাচন কমিশন। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনে বেনজির ভাবে রদবদলও করিয়েছে কমিশন। এত তৎপরতা সত্ত্বেও বাংলার ভোটে সেই চেনা অশান্তির ছবিই সামনে এসেছে। ৭ দফাতে ভোট ঘিরে অশান্ত হয়েছে বঙ্গভূমি। একনজরে জেনে নিন, কোন দফায় কোথায় কী অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল...
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
1st Phase of Loksabha Election 2019: প্রথম দফার ভোট (১১ এপ্রিল):
প্রথম দফায় বাংলার ২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। দুই কেন্দ্রের মধ্যে অশান্তির নিরিখে শীর্ষে নাম কোচবিহারের। জেনে নিন প্রথম দফার ভোটে কী ঘটেছিল...
* মাথাভাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৩ জনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জখম হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৩ জন।
* তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটায়। ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
* প্রথম দফার ভোটের শেষে নতুন করে উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহার। সাড়ে তিনশো বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে অবস্থানে বসেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সংশ্লিষ্ট কলেজটিকে নির্বাচনের ডিসি-আরসি কেন্দ্র করা হয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় প্রথমে হাতাহাতি বেঁধে যায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
* তুফানগঞ্জের ধলপলে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
* কোচবিহারের একাধিক বুথে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ইভিএম বিকল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলায় একাধিক ইভিএম খারাপ। ইভিএমে কারচুপি করা আছে। চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছি। কমিশনকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছে। ইভিএমে অব্যবস্থা চলছে’’। এ ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ফোন করে খোঁজ নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
* শীতলকুচিতে মহিলা ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে, কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গোবিন্দ রায়ের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের দিকে।
* কোচবিহারের ফব প্রার্থী গোবিন্দ রায়ের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ‘‘আমায় ধাক্কা মারা হয়েছে’’ অভিযোগ করেন প্রার্থী। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সবিস্তারে পড়ুন...
2nd Phase of Loksabha Election 2019 in West Bengal: দ্বিতীয় দফার ভোট (১৮ এপ্রিল):
দ্বিতীয় দফায় বাংলায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ- বাংলার এই তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। কেমন ছিল ভোটপর্ব? কী ঘটনা ঘটেছিল? জেনে নিন, একনজরে ...
* দ্বিতীয় দফার ভোটে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে কুরুক্ষেত্র বেঁধে যায় এলাকায়। প্রথমে ৩১নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। পরে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর ভোট দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে বুথের দিকে রওনা দেয় পুলিশ। এমতাবস্থায় ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেব না’’, কার্যত এমন দাবিই তোলেন স্থানীয়দের একাংশ। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে যেতে চান না বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও বাধে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীদের তৎপরতায় এক তৃণমূল কর্মীকে পাকড়াও করে পুলিশ। ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধেই ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে, এই ঘটনার পর আচমকাই পুলিশের উপর হামলা চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ, এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও।
* ইসলামপুরে মহম্মদ সেলিমের গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রাণ বাঁচাতে কোনওরকমে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান চালক। এ ঘটনার জেরে বুথের ভিতরেই আটকে পড়েন রায়গঞ্জের বাম প্রার্থী। বুথে বুথে ভোটপ্রক্রিয়া ঘুরে দেখানোর সময়ই সেলিমের গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
* ধূপগুড়িতে তৃণমূল সমর্থকের খড়ের গাদায় আগুন লাগানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মবাহিনী।
* কালিয়াগঞ্জে ইভিএম বিভ্রাটের মুখে পড়েন দীপা দাশমুন্সী। ইভিএম খারাপ থাকায় প্রথমে ভোট দিতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর ভোট দেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী।
* মোবাইলে কথা বলতে বলতে কালিম্পঙে ভোট দেন জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী। এ ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। সরানো হয় ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে।
3rd Phase of Loksabha Election 2019: তৃতীয় দফা (২৩ এপ্রিল):
তৃতীয় দফায় বাংলায় বালুরঘাট, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে ছিল তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। গত দু’ দফার ভোটের অশান্তিকে ছাপিয়ে গিয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচন। লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফাতেই প্রথম বাংলায় প্রাণ ঝরে। কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। তৃতীয় দফার ভোটে যেসব ঘটনায় অশান্ত হয়েছে বঙ্গভূমি, জেনে নিন একনজরে...
* মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে বাঁধে। সেই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম টিয়ারুল শেখ। টিয়ারুল কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি। এছাড়া জখম হয়ে আরও ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
* দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে ঘর থেকে মিলেছে ভোটকর্মীর মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির নাম বাবুলাল মুর্মু। তিনি কুশমুন্ডি সরলা স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে।
* দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। স্থানীয় বিজেপি নেতাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ওঠে। পিস্তলের বাঁট দিয়ে বিজেপি নেতার মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্রের কোপে বিজেপি নেতার হাতে আঘাত লেগেছে।
* বালুরঘাটের বংশীহারিতে বিজেপি সমর্থক ভেবে ৩ বাইক আরোহীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। অন্যদিকে, গঙ্গারামপুরের সাহাপাড়ায় তৃণমূলের পতাকা লাগানো টোটোয় করে ভোটারদের বুথে নামানোর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।
* কুমারগঞ্জের বুথে পুলিশকে ধমক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মাহমুদা বেগমের। ‘‘এই বুথ আমার, পুলিশ কেন এসেছে? এই বুথ আমি তৈরি করেছি’’, এ ভাষাতেই ধমক দেন মাহমুদা।
* মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কুমরিপুরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
* মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মানিকনগরে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর উপর হামলার অভিযোগ। বোমা-লাঠি নিয়ে হামলায় জখম কাউন্সিলরের স্বামী-সহ ২। সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার সিপিএম-কংগ্রেসের।
* মালদার কালিয়াচকের আলিপুরে বোমাবাজির অভিযোগ। বোমার ঘায়ে জখম ৩ জন কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।
4th Phase of Loksabha Election 2019: চতুর্থ দফার ভোট (২৯ এপ্রিল):
চতুর্থ দফায় বাংলার বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, রানাঘাট, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূমে অশান্তি-উত্তেজনার আবহেই কেটেছে ভোটগ্রহণ। বীরভূমের নানুর ও আসানসোল কেন্দ্রে সবথেকে বেশি গোলমাল হয়েছে। জেনে নিন, ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল...
*আসানসোলের বারাবনির ১৯৯ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে চরম বিক্ষোভ চলে। বাবুলের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে তৃণমূল কর্মীদের। বাবুলের গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাবুল। বুথের মধ্যেই তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বাবুলের।
* বীরভূমের নলহাটির হাবিসপুরে বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরে মাথা ফাটে বিজেপি সমর্থকের। তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
* বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর সামনেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের হাতে পাকড়াও হয় এক ভুয়ো ভোটার। পরে ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। অধীরের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে। এ ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।
* পাণ্ডবেশ্বরের ১৩৯ নং বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথের সামনে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
* বুথে মোবাইল রাখা ঘিরে রণক্ষেত্র হয় বীরভূমের দুবরাজপুরের পদুমা এলাকা। মোবাইল ফোন জমা রাখা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের একাংশের। মোবাইল জমা রাখার সময় কয়েকটি ফোন মাটিতে পড়ে যায়। বাহিনীর সঙ্গে ভোটারদের একাংশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে ভোটারদের বিরুদ্ধে। পাল্টা শূন্য গুলি চালায় বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
* জামুড়িয়ার তালতোড়ে ভোটারদের বাধা, মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশি আশ্বাসে ফের ভোট দিতে বুথে যান ভোটাররা।
* ভোট ঘিরে ধুন্ধুমার আসানসোলের জেমুয়া। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় প্রতিবাদে ভোট বয়কট ভোটারদের একাংশের। এলাকায় শাসক-বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
* নানুরে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপি সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এক বিজেপি সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সবিস্তারে পড়ুন...
5th Phase of Loksabha Election 2019: পঞ্চম দফার ভোট (৬ মে):
পঞ্চম দফায় বাংলার বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, ও আরামবাগে ছিল পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। ভোটের উত্তাপে তেতে ছিল হুগলি ও ব্যারাকপুর কেন্দ্র। অন্যান্য কেন্দ্রেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল।
* ব্যারাকপুরের মোহনপুর এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। অর্জুন সিং-এর উপর তৃণমূল কর্মীরা আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থী অর্জুনের ঠোঁট ফেটে গিয়েছে বলে খবর। টিটাগড়ের আইসি-র সামনে তৃণমূলের গুন্ডারা বহিরাগতদের নিয়ে এসে হামলা করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া অর্জুনের।
* আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামে অর্জুন সিংকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ইট-বৃষ্টিরও অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় জখম বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামে খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার দুই প্রতিনিধি জয়প্রকাশ দাস ও শশী ঘোষ।
* ধনেখালিতে ভোট ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। ১৫৯নং বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে বুথে আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ওই বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে খোদ হুগলির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। লকেটের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় ইভিএম ভাঙচুর করেছেন’’।
* আধা সেনার হাতে ‘মার’ খান হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার দাশনগরের বালিটিকুরিতে তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে আধা সেনার বিরুদ্ধে। বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে আধা সেনা, এই অভিযোগ ঘিরে বুথ চত্বরে প্রসূনের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে আধা সেনার। সেসময়ই প্রার্থীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
* শ্রীরামপুরের জগদীশপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, মুখ ফাটে বিজেপি প্রার্থী দেবজিতের সহকারীর। পুলিশের সামনেই দেবজিতের সহকারীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা, গোলমাল হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
* ভোট ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় বনগাঁর হিংলি এলাকায়। ওই এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। হামলায় জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে খবর।
* আরামবাগের কীর্তনপুরে সিপিএমের এজেন্টকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে হুমকি দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটারদের তাড়া খেয়েই পালিয়েছেন সিপিএমের পোলিং এজেন্ট।
* ভোট ঘিরে অশান্তি ছড়ায় শ্রীরামপুরের কোতুলপুরে। বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি বাধে। কয়েকজন ভোটারের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিয়ে শুরু হয় বচসা।
* হুগলির দেধারায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বুথের মধ্যে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসা করতে দেখা যায় লকেটকে। বিজেপি প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সকাল থেকে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন? চোখে কালো কাপড় বেঁধে রেখেছিলেন? আপনি আসুন এদিকে।’’ এরপরই বুথ থেকে প্রিসাইডিং অফিসারকে বের করার অভিযোগ উঠেছে লকেটের বিরুদ্ধে। হুগলির ধনেখালিতেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেছেন লকেট। বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘ধনেখালিতে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। এত বুথ রয়েছে, আর কত বুথে ঘুরব। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিকমতো মোতায়েন করা হয়নি।’’
* গয়েশপুরে রবীন্দ্রপল্লিতে বহিরাগতদের জমায়েত হঠায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বহিরাগতদের তাড়া দিয়ে হঠায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাড়া খেয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন বহিরাগতরা। পরে তাঁদের থেকে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করে বাহিনী।
* তারকেশ্বরের নস্করপুরে ১১০নং বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। ভোটারকে নিয়েই ইভিএমের সামনে দেখা গেল জনৈক টিএমসিপি নেতাকে।
* আমডাঙার বড়গাছিয়ায় বাম এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বাম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের।
* খানাকুলের শিমচকে কংগ্রেস এজেন্ট হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
* বিতর্কে জড়ান বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির উত্তরীয় গায়ে দিয়েই ভোট দেন শান্তনু।
* বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের গাইঘাটায় তৃণমূলের সমর্থকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বাইকে আগুন লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলই প্রথমে হামলা চালায় বলে পাল্টা অভিযোগ বিজেপির।
6th Phase of Loksabha Election 2019: ষষ্ঠ দফার ভোট (১২ মে):
ষষ্ঠ দফায় বাংলার তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে ভোটগ্রহণ ছিল। বাকি কেন্দ্রের থেকে ঘাটাল কেন্দ্রই সেদিন সবথেকে উত্তপ্ত ছিল।
* ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভারতী ঘোষ ও তাঁর এজেন্টকে বুথের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভারতীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভারতীর পায়ের নখ কেটে রক্তপাত হয় বলে দাবি। যদিও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, বিজেপি প্রার্থীই অশান্তি ছড়াচ্ছে।
* দোগাছিয়ায় ভারতী ঘোষের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর গুলির ঘায়ে জখম হন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী বলে দাবি। ছাপ্পা ভোট করা হচ্ছে, এ খবর পেয়েই ওই এলাকায় যান ভারতী। ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভারতীকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর। এরপর ভারতীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সংবাদমাধ্যমও রেহাই পায়নি। সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ সামনে আসে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, পরিস্থিতি সামলাতে ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা শূন্যে গুলি চালান। কিন্তু পরে রক্ষীদের গুলির আঘাতেই জখম হওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন তৃণমূল কর্মীরা। হাতে বাঁশ নিয়ে রাস্তায় মারমুখী হয়ে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে ইট ছোড়ার অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
* কেশপুরের পিকুরদার ১৩৯নং বুথের ভিতরে ঢুকে ভিডিওগ্রাফির অভিযোগ ওঠে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে। ভারতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
* পাঁশকুড়ার মাইসোরায় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিজেপি। প্রতিবাদে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
* বিক্ষোভের মুখে পড়েন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের রামপুরায় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে।
* ভারতী ঘোষের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারায় ভারতীর গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। কেশপুর কালীমন্দিরে অবস্থানে বসেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।
* হলদিয়ার সুতাহাটায় বিবেকানন্দ হাইস্কুলে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। ভোটদানে বাধাদান ঘিরে অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট ছোড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।
* ভোট ঘিরে অশান্ত হয় মেদিনীপুরের অলিগঞ্জ। ওই এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে।
* গড়বেতার রসকুণ্ডে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় জখম হন ২ দলের বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে শাসকদল। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ করে বিজেপি।
7th phase of Loksabha Election 2019: সপ্তম দফার ভোট (১৯ মে):
সপ্তম দফায় বাংলার দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তরে ভোটগ্রহণ চলে। বাকি দফার ভোটের তুলনায় শেষ দফার লোকসভা ভোট অনেকটাই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে বাংলায়।
* বেলগাছিয়ার একাধিক কেন্দ্র থেকে সিপিএমের পোলিং এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়ার দাবিতে আর জি করের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সিপিএমের প্রার্থী কনীনিকা ঘোষ। সিআরপিএফ এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন উত্তর কলকাতার এই প্রার্থী।
* উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণীতে বোমাবাজি হয়। বাইকে করে যাওয়ার সময় বুথের সামনেই চলে বোমাবাজি, এমনটাই জানান স্থানীয়রা।
* মুদিয়ালির ৭২নং বুথে মালা রায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মালা রায়ের বচসা বাঁধে।
* বারুইপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
* মিনাখাঁয় বুথ জ্যামের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভোট দেওয়ার দাবিতে এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ করেছে পদ্মবাহিনী।
* যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৫২নং বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।
* ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের দোঙারিয়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।