সারা বাংলা জুড়ে আজ শ্যামা আরাধনা। কথায় বলে উমা গেলেই শ্যামা আসে। আর আজ দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন, তারকারাও সমান আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত। অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে এদিনের পুজোর ব্যস্ততা তুঙ্গে।
অভিনেতার দেশের বাড়িতে যেমন রটন্তরী কালীপুজো হয়, তেমন অভিনেতার কলকাতার বাড়িতেও আজ দীপান্বিতা কালীপুজো উপলক্ষে থাকে তারকা সমাগম। প্রায় ৭৫ বছর ধরে হয় এই পুজো। রয়েছে ইতিহাসও।
অভিনেতা নিজেই সেই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে। অভিনেতার কথায়, এই বাড়ির পুজো অনেক পুরোনো। তাঁর বড়দা দেখে এসেছেন এই পুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণনগরের ইতিহাস। খরাজ বললেন, "এই পুজোর সঙ্গে আমরা দারুণভাবে জড়িয়ে ছিলাম। বড় হওয়ার পর আমি ভোগ রান্না করার দায়িত্ব নিলাম। মঙ্গলঘট স্থাপন করতে শুরু করলাম।"
অভিনেতা জানান, তাঁদের বাড়ির মাকে প্রায় ৭ রকমের মালা পড়ানো হয়। জবা, নীলকন্ঠ, বেলপাতা, রঙ্গন সবরকম মালা পড়ানো হয়। অভিনেতা জানান, একবার বাবার অনুৎসাহ সত্বেও দায়িত্ব নিয়ে হাওড়া থেকে সব বেলপাতা, ফুল কিনে আনলেন। বাবা বেশ খুশি হলেন। তারপর থেকে একই নিয়মে পুজো হয়ে আসছে।
কিন্তু, অভিনেতার বাড়ির ঠাকুর মূর্তির রয়েছে ইতিহাস। তিনি বলেন, "একদম যে পুরোনো মূর্তি, যেটা বাবা নিত্যপূজো করতেন, সেটা একটা সময় পর একটু খারাপ হতে লাগল। দাদা তখন, কৃষ্ণনগরের একজনকে ডেকে ঠিক করালেন। আসলে, সেটা আমাদের কাছে এতই আবেগের বিষয় ছিল। আমরা চাইনি মূর্তির কিছু হোক। তখন, সেই শিল্পী বললেন, এই যে ঠিক করে দিলাম, এবার কিন্তু এতে আর হাত দেওয়া যাবে না। সুতরাং, সেই মূর্তি কাঁচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল। আমরা আর ওটা খুলতাম না। তারপর থেকে কুমোরপাড়া থেকে মায়ের মূর্তি এনে পুজো হয়। ভোগ হয়, ইত্যাদি।"
উল্লেখ্য, অভিনেতার বাড়িতে যে পুজো হয়, সেটি তাঁর বড়দা নিজেই করেন। সারারাত পুজো হয়, আড্ডায় গানে সকলেই বেশ আনন্দ করে কাটান।