আজ সোমবার দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষক বিক্ষোভের ডাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে। দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সোমবার জাতীয় রাজধানীর যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের জন্য হাজারে হাজারে কৃষকরা শহরে আসতে শুরু করেছে।
যৌথ কিষাণ মোর্চা (SKM) এবং অন্যান্য কৃষক সংগঠনের পক্ষে থেকে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য’র (MSP) যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য তাদের অমীমাংসিত দাবি গুলির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আজ দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি 'মহাপঞ্চায়েতের' আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই হাজারে হাজারে কৃষক রাজধানীতে আসতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিপ্তে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করেছে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সমীর শর্মা বলেছেন, “কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আউটার ডিস্ট্রিক্টের টিকরি সীমান্তে, প্রধান মোড়ে, রেলওয়ে স্টেশন এবং মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত স্থানীয় পুলিশ এবং বাইরের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে”। গতকালই কৃষক নেতা এবং ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইতকে, গাজিপুর সীমান্তে দিল্লি পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: < মাঝ আকাশে ধোঁয়া, ‘দমবন্ধ’ অবস্থায় জরুরি অবতরণ, হুলস্থূল কাণ্ড কলকাতা বিমানবন্দরে! >
সকাল ১১টায় মহাপঞ্চায়েত শুরু হওয়ার কথা। কৃষি আইন প্রত্যাহার হলেও কেন্দ্র কৃষকদের বাকি দাবিগুলি এখনও পূরণ করেনি। এই অভিযোগেই ফের পথে নামছে কৃষক সংগঠনগুলি। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে আজকের এই 'মহাপঞ্চায়েতে’ ঘিরে রাজধানীতে ৪ থেকে ৫ হাজার কৃষকের জড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই থমকে যেতে পারে রাজধানীর জনজীবন। যে কোন অপ্রীতিকর ব্যবস্থা এড়াতে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
৪০ থেকে ৫০টি কৃষক সংগঠন এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে আজ রাজধানীতে আসছেন। এর পরও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে। গতকালই আটক করা হয় কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতকে। রবিবার তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে গেলে, তাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মধুবিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকেই কৃষক নেতা এক টুইট বার্তায় লেখেন, “এভাবে কৃষকদের কন্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করতে পারবে না দিল্লি পুলিশ।”