/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/06/laxmi-puja-2025-10-06-10-40-26.jpg)
Devi Laxmi: দেবী লক্ষ্মী।
Laxmi Puja 2025: আজ (২০২৫ সালের ৬ অক্টোবর, সোমবার) আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষ পূর্ণিমা তিথি অর্থাৎ কোজাগরী পূর্ণিমা। বাংলার ঘরে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার দিন। বিশ্বাস করা হয়, এই রাতে দেবী লক্ষ্মী ভক্তদের ঘরে ঘুরে বেড়ান এবং যাঁরা জেগে থেকে তাঁর আরাধনা করেন, তাঁদের ঘরে সমৃদ্ধি দেন।
প্রতিরূপ জরুরি
বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীকে নানা রূপে পুজো করা যায়— কেউ মাটির সরায় আঁকা ছবিতে দেবীর পূজা করেন। কেউ পিতল বা মাটির প্রতিমাকে দেবীরূপে পূজা করেন। কেউ আবার কলাগাছ বা আখরূপে পূজা করেন দেবী লক্ষ্মীকে। যে নিয়মে প্রতিবছর পুজো হয়, সেই নিয়মেই দেবীর প্রতিমা বা প্রতিরূপ স্থাপন করা উচিত।
আরও পড়ুন- কেন সরাতে হয় লক্ষ্মীপুজো? জানেন লক্ষ্মী পুজোর কতরকম সরা আছে?
ঘট স্থাপনের কায়দা
লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম ধাপ হলো ঘট স্থাপন। প্রয়োজন হবে— পিতল/তামা/মাটির ঘট, একখানি চেলি (লাল কাপড়), শিসযুক্ত ডাব, গঙ্গাজল ও গঙ্গামাটি, ধান ও দূর্বা, ফুল ও চাঁদমালা, সিঁদুর গোলা (স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার জন্য)। যদি শিসযুক্ত ডাব না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে কাঁঠালি কলা বা হরিতকী ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজো থেকে কোজাগরী পূজা কেন আলাদা? জানুন তাৎপর্য
দেবীর আরাধনার উপকরণ
দেবী লক্ষ্মীর কাছে নিবেদন করতে লাগবে— লক্ষ্মীর ঝাঁপি, সিঁদুরের কৌটো, আলতা, ৫টি কড়ি, শাঁখা, পলা ও লোহা। লক্ষ্মীর ঝাঁপি চাল ভর্তি করে দেবীর পায়ের কাছে রাখুন। ওপরে রাখুন কড়ি ও ১ টাকার কয়েন — এটিকে শুভ বলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মানুন এই ১০ টোটকা, ঘরে উথলে উঠবে সুখ
আসন পাতার নিয়ম
দেবীর আসন সাজানোর জন্য লাগবে— পাঁচটি পানপাতা, সুপারি, হরিতকী, ফল (পাঁচরকম যেমন আপেল, কলা ইত্যাদি), প্রথমে পানপাতা বিছিয়ে দিন, তারপর তার ওপর ফল, সুপারি এবং হরিতকী রাখুন। অনেক বাড়িতে শুকনো হলুদ বা কড়িও রাখা হয় পাতার ওপরে।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য, বাড়িতেই সহজে বানান এই স্পেশাল নারকেলের লাড্ডু
এছাড়াও লাগবে
দর্পণ, পদ্মফুল ও পদ্মবীজ, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চরত্ন, পঞ্চগব্য, তেকাঠি ও গঙ্গাজল।
আরও পড়ুন- আসছে বছর আবার হবে! কিন্তু আগামী তিন বছর কবে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালীপুজো? দেখে নিন এখানে
মা লক্ষ্মীর সবচেয়ে প্রিয় ভোগ হলো নাড়ু এবং মুড়কি। তাছাড়াও দিতে পারেন— চিঁড়ে, কলা, খেজুর, নারকেল, ক্ষীর, দুধ, পায়েস বা মিষ্টান্ন। দেবীকে মন থেকে যা নিবেদন করবেন, তাই তিনি সানন্দে গ্রহণ করেন — এটাই বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো কেন রাতেই করা হয়? কারণ জানলে আশ্চর্য হবেন!
এই রাতে দেবী লক্ষ্মী 'কে জাগর?' বলে ভক্তদের ঘরে আসেন — এই কথা থেকেই এসেছে 'কোজাগরী' শব্দটি। তাই এই রাতে জেগে থেকে দেবীর নামস্মরণ ও আরাধনা করলে সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস করা হয়।