থ্যালাসেমিয়া, সাধারণত রক্তের একটি রোগ। বংশ পরম্পরায় এই রোগ মানবদেহে বেড়ে ওঠে। এর কারণেই মানুষের দেহে সাধারণের থেকে কম রক্ত থাকে। যার ফলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং চরম অলসতা গ্রাস করে মানুষকে। এর বেশ কিছু বিভেদ রয়েছে।
যেমন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অটোসমাল রিসেসিভ ম্যানারেই এটি শরীরে প্রভাব বিস্তার করে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জেনেটিক হরমোন বজায় থাকে বলে এটি আরও ভয়ানক আকার নিতে পারে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমতে থাকে। মায়ো ক্লিনিকের মতে রক্তাল্পতা অন্যতম কারণ এটি। প্রতিবছর সচেতন থাকতেই, ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয় - এবছরের থিম সচেতন থাকুন।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ যশ বর্ধন স্বামী বলছেন, থ্যালাসেমিয়ার কারণে আয়রনের মাত্রা হ্রাস পাওয়া শরীরে দুর্বলতা খুব স্বাভাবিক। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট, হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখতে পাওয়া যায়। আয়রন আমাদের শরীরের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে অথবা নতুন ভাবে তৈরি করতে আয়রন যুক্ত খাবার অবশ্যই খাওয়া উচিত।
শুধু তাই নয়, আয়রন নিউরোট্রান্সমিটারে সহায়তা করে। হরমোনের সংশ্লেষ করে, বিপাকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। যদিও বা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া মুশকিল হতে পারে।
কেন ঘাটতি দেখা যায় আয়রনের?
বিশেষজ্ঞ বলছেন বেশিরভাগ মানুষ নিরামিষ আহার করেন। সবুজ শাক সবজি থেকে যে আয়রন পাওয়া যায় সেটি নন হিমোগ্লোবিন। শরীরে সঠিকভাবে শোষিত হয়না। সেই কারণে খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। সবথেকে বেশি আয়রন থাকে মাংস কিংবা সামুদ্রিক মাছের শরীরে।
নিরামিষ আহার যারা করেন তারা বাদাম, শস্যবীজ, দানা, শাক এসবের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও পোল্ট্রি, ডিম এরমধ্যে ভরপুর আয়রন থাকে। তবে যদি এর থেকে পাচন কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। অত্যধিক আয়রন কিন্তু বিষের মত ক্ষতি করতে পারে। তাই সতর্ক থাকা উচিত।