England vs Denmark: ১০৪ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকেই গোল করে যান হ্যারি কেন। হেরে স্বপ্নের দৌড় শেষ ডেনমার্কের।
England vs Denmark: ১০৪ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকেই গোল করে যান হ্যারি কেন। হেরে স্বপ্নের দৌড় শেষ ডেনমার্কের।
ডেনমার্কের স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে ইংল্যান্ড ইউরোর ফাইনালে প্রথমবার পৌঁছে গিয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের জয়ের পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে রেফারির বদান্যতায় হ্যারি কেনরা কি ফাইনালের স্টেশনে পৌঁছে গেলেন!
Advertisment
ইংল্যান্ডের ইউরো সেমিফাইনাল জয়ে চালু হয়ে গিয়েছে তিন বিতর্ক- পেনাল্টি, গোলকিপারের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে লেজার রশ্মি ব্যবহার এবং জোড়া বল। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি আদায় করে নেয় ইংল্যান্ড। যেখান থেকে হ্যারি কেন দলকে জয়সূচক গোল উপহার দিয়ে যান। জোয়াকিম মাহেলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে না পেরেই বক্সে পড়ে যান স্টার্লিং। তারপরেই পেনাল্টি দেওয়া হয় ইংল্যান্ডকে। কিন্তু ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রাহিম স্টার্লিং প্লে এক্টিং করে পেনাল্টি আদায় করেছেন।
১০৪ মিনিটে হ্যারি কেনের পেনাল্টি বাঁচিয়েও দেন ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাস্পার স্কিমিচেল। তবে রিবাউন্ড থেকে গোল করে যান কেন।
Advertisment
As well as the second ball on the pitch, there was a laser shone at Kasper Schmeichel's head before Harry Kane's penalty.#ENGpic.twitter.com/3eeZI4l46a
অন্যায্য পেনাল্টি দেওয়া ছাড়াও আরো বিতর্কিত ঘটনা ঘটল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। হ্যারি কেন পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় দেখা যায় ড্যানিশ গোলকিপারের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য লেজার রশ্মি প্রয়োগ করছেন বেশ কিছু দর্শক। এমন কীর্তি সত্ত্বেও স্কিমিচেল কেনের শট রুখেও দেন। যদিও রিবাউন্ড থেকে গোল করেন কেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লেজার বিম কান্ড নিয়ে ইংল্যান্ডকে রীতিমত তুলোধোনা করা হচ্ছে। এছাড়াও মাঠে জোড়া ফুটবল দেখেও অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। স্টার্লিং যখন ফাউলের জন্য পেনাল্টি আদায় করে নিলেন সেই সময়েই রিপ্লেতে দেখা গেল মাঠে একই সঙ্গে দুটো বল। নিয়ম অনুযায়ী, জোড়া বল কোনোভাবে মাঠে একইসঙ্গে খেলা চলাকালীন থাকলে সঙ্গেসঙ্গেই খেলা বন্ধ করে দিতে হয়।
There appeared to be a second ball on the pitch during the play that Raheem Sterling won a penalty for England in extra-time. pic.twitter.com/U9y5BTv0ni
নেটিজেনরা এই ঘটনার জন্য খেলা বন্ধের দাবি জানালেও রেফারি খেলা চালিয়েই যান। নিয়ম যদিও বলছে, দ্বিতীয় বল যদি খেলায় বাধা সৃষ্টি করে তাহলে রেফারি খেলা বন্ধ করে দিতে পারেন।
যাইহোক, ১০৪ মিনিটে কেনের গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার পরে বাকি সময়ে ডেনমার্ক আর গোলশোধ করতে পারেনি। ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড ইতালির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন