/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/26/pm-modi-top-on-world-leaders-2025-07-26-13-51-58.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
PM Modi Kolkata Visit:ফের ভোটের আগে মোদীর বঙ্গ সফরকে ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিহারে SIR ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে একই মঞ্চে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এর পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়েও কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছেন মমতা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এবং উত্তাল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলা সফর রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বছর এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর তৃতীয় বাংলা সফর। এর আগে দুটি সফরে তিনি দুর্নীতি এবং অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন। সফরের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃহস্পতিবার টুইট করে বাংলার উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন এবং তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এবং রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের জন্য বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে, শুক্রবার দমদমে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বিগত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা আসন - খড়দা, দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম উত্তর এবং রাজারহাট গোপালপুর - তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এই এলাকায় সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এলাকায় বিজেপি সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করবেন।
বিজেপি সাংসদ তপন শিকদার ১৯৯৮-৯৯ এবং ১৯৯৯-০৪ সালে বামফ্রন্ট শাসনকালে দমদম লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই এলাকাটি রাজনৈতিকভাবে বিজেপির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই এলাকাটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন। অভিযোগ তৃণমূল সরকারের মদতেই এই অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থী বসতি গড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে, অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও আজ তৃণমূলকে নিশানা করবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবির। এই জেলার একটা বড় অংশ বাংলাদেশ সীমানা ঘেষা। সেক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অনুপ্রবেশ ইস্যু আসতে পারে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন করা হচ্ছে। সেই জবাবও দিতে পারেন মোদী।