Quad Leaders On Pahalgam Terror Attack: "সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে একজোট কোয়াড", পহেলগাঁও হামলার নিন্দায় ঝোড়ো বিবৃতি, জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার
হাইলাইটস
- কোয়াড নেতাদের যৌথ বিবৃতি: “সন্ত্রাস ও হিংসাত্মক চরমপন্থার সমস্ত রূপের বিরুদ্ধে আমরা”
- পহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি
- বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে বৈঠক
- প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গেও আলোচনা, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় জোর
বিশ্বের চারটি প্রধান দেশের গ্রুপ 'কোয়াড' জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ১ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত কোয়াড বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান এই হামলাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে কোয়াডের কঠোর অবস্থান
কোয়াড দেশগুলি একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে, ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন নেপালি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
সভায় উপস্থিত সকল দেশ বলেছে
- "আমরা সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ সহ সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাই।"
- "আমরা দাবি করছি যে এই জঘন্য কাজের অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী এবং অর্থায়নকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা হোক।"
- "আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"
কোয়াড রাষ্ট্রসংঘের সকল সদস্য দেশকে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে অপরাধীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শাস্তি দেওয়া যায়।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং চিনের প্রতি বার্তা
সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও, এই কোয়াড বৈঠকের একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। কোয়াড দেশগুলি স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা এমন একটি অঞ্চলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে সমস্ত দেশ কোনও চাপ ছাড়াই বসবাস করতে পারে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বলপ্রয়োগ বা চাপের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা করে এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।"
কোয়াডের নতুন এবং শক্তিশালী এজেন্ডা
ভবিষ্যতের জন্য তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরে, কোয়াড একটি নতুন এবং উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা ঘোষণা করেছে যা চারটি মূল ক্ষেত্রের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে
- সামুদ্রিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা: সমুদ্রে নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
- অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি: সকলের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- নতুন প্রযুক্তি: গুরুত্বপূর্ণ এবং উদীয়মান প্রযুক্তিতে একসাথে কাজ করা।
- মানবিক সাহায্য: দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে একে অপরকে সাহায্য করা।
ভারতের উপযুক্ত জবাব
উল্লেখ্য, কোয়াডের এই বৈঠকের আগে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) বৈঠকে পহেলগাঁও হামলার বিষয়ে একটি কড়া বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, "আমরা সেই হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের ভূমিতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত জবাব দেব।"
বৈঠকের ফাঁকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল:
-
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
-
উদীয়মান প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা ও কৌশলগত যোগাযোগ
-
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা