আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি। শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকজনকে কম্বন বিতরণ করেন। এরপর বিরোধী দলনেতা মঞ্চ ছাড়েন। তখনই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পরে যায়। চলে ঠেলাঠেলি। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জন শিশু ও ২ জন মহিলা। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন।
পুলিশ কমিশনারের অভিযোগ, বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানানো হয়নি। ফলে ওই জমায়েতের কোনও অনুমতি ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উদ্যোক্তারা মাইকে বলেন ৫ হাজার কম্বল বিতরণ হবে। বা্তবে এর থেকে অনেক বেশি মানুষ কম্বল নিতে ভিড় করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা চলে গেলে ছোট মাঠে কম্বল বিতরণকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের প্রাণ গিয়েছে।
মর্মান্তিক পরিণতির জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেই দায়ী করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'বিজেপি তারিখের রাজনীতি করছে। এটাই কী ১৪ তারিখের হুঁশিয়ারি ছিল? আসলে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতিতে এঁটে না উঠে যা ইচ্ছে তাই করছে শুভেন্দু, সুকান্তরা। তাতেই বাড়ে বাড়ে বিপত্তি ঘটছে। ১২ তারিখের কথা বলছিলেন শুভেন্দু। সেদিন সিবিআই হেফাজতে লালন শেখ মারা গেলেন। আজ কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে জমায়েত হল পুলিশের অনুমতি ছাড়া। তাতে ৩ জনের প্রাণ গেল। আসলে বিজেপি পাগলকে দেশলাই দিয়ে দিয়েছে। তাতেই যত বিপত্তি হচ্ছে।'