স্বাতি মালিওয়াল নিগ্রহ মামলায় গতকালই নীরবতা ভাঙেন কেজরিওয়াল। সেই সঙ্গে আনেন শোরগোল ফেলা অভিযোগ। হুঙ্কার ছুঁড়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন রবিবার বিজেপির সদর দফতরে অভিযান চালাবেন আপের সকল বিধায়ক সাংসদ। এদিকে কেজরিওয়ালের এই হুঁশিয়ারির পরই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে মিছিলের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
স্বাতি মালিওয়াল মামলায়, দিল্লি পুলিশ শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারকে গতকালই গ্রেফতার করে। এরপরই সন্ধ্যায় মুখ খোলেন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, আজ রবিবার আপের বিধায়ক-সাংসদরা বিজেপি সদর দফতর অভিযান করবেন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আদমি পার্টি অভিযানের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন অনুমতি নেয়নি। একই সঙ্গে আপ-কে নিশানা করছে বিজেপি।
আম আদমি পার্টির (এএপি) রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতি মালিওয়ালের উপর হামলার মামলার তদন্ত যতই এগোচ্ছে, দিল্লিতে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবনে মালিওয়ালের উপর হামলার কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৈভব কুমারকে গ্রেফতারের পর তাকে ৪ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। আদালত বৈভবকে ৫ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে গতকাল কেজরিওয়ালের বিজেপির সদর দফতর অভিযান ঘোষণার পর দিল্লি জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (DMRC) বলেছে যে ITO মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ এবং প্রস্থান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিক্ষোভের বিষয়ে দিল্লি পুলিশ বলছে, আম আদমি পার্টি পুলিশের কাছে কোনো অনুমতি নেয়নি। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি কোনো ধরনের প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে বলেছিলেন, 'আমি দলের সকল সাংসদ-বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১২ টায় বিজেপি সদর দফতরে আসছি, আপনি যাকে যাকে ইচ্ছা জেলে পুরতে পারে। প্রয়োজনে সকলকে একসঙ্গে জেলে ভরতে পারেন'।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন, বিজেপি চাইছে আম আদমি পার্টির নেতাদের জেলবন্দী করে দলকে শেষ করে দেওয়ার। স্বাতি মালিওয়াল মামলায়, দিল্লি পুলিশ শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আরও আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টি।
এদিকে এই ঘটনার জেরে মুখ খুলেছে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি বলেছেন, মহিলাদের প্রতি দুর্ব্যবহার নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট।এদিকে সামনে এসেছে স্বাতী মালিওয়ালের মেডিকেল রিপোর্টও । তাতে তাঁর শরীরের চারটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান চোখের নিচেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাতি মালিওয়াল যখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তার মাথায় আঘাত করাহয়েছিল, তারপরে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন, তারপরে তাকে লাথি মারা হয়। বিভাবকে গ্রেপ্তারের পর স্বাতী মালিওয়ালের মামলা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিজেপি এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছে।