দল এবং সরকারে তাঁর অবস্থান যে কতটা দৃঢ়, তা বুঝিয়ে দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষমতাসীন চিনা কমিউনিস্ট পার্টিতে এতদিন নম্বর ২ নেতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। শনিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেললেন জিনপিং। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সংখ্যা সাত জন।
বেজিঙে দলের পার্টি কংগ্রেসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি শনিবার তার সেন্ট্রাল কমিটির ২০৫ জন নতুন সদস্যকে নির্বাচিত করল। দেখা গিয়েছে, তালিকায় লি-সহ আরও তিন জনের নাম নেই। আর, সেন্ট্রাল কমিটিতে স্থান না-পাওয়ায়, তাঁরা পলিটব্যুরোর সদস্যও হতে পারবেন না। রবিববার পলিটব্যুরোর নতুন সদস্যদের নাম ঘোষিত হবে।
তবে, এখনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হচ্ছেন না। তিনি আরও ছয় মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন। কেকিয়াং ছাড়া আরও যাঁদের অপসারণ করা হল, তাঁরা হলেন শি জিনপিঙের দীর্ঘদিনের সঙ্গী লি ঝানশু (৭২), উপদেষ্টা সংস্থার প্রধান এবং সরকারের ৪ নম্বর ব্যক্তিত্ব ওয়াং ইয়াং (৬৭) আর, সাংহাইয়ে দলের প্রধান হান ঝেং (৬৮)। এর মধ্যে লি ঝানশু ও হান ঝেং অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু, কেকিয়াংকে শি জিনপিং কেন বাদ দিলেন? বিশেষ করে তিনি যখন তাঁর দল এবং সরকারের নম্বর ২? তাই কেকিয়াঙের অপসারণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
আরও পড়ুন- দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোলে কী হতে পারে, জেনে নিন
একটা সময় চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে শি জিনপিঙের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লি কেকিয়াং। পাশাপাশি, কেকিয়াং বাজারভিত্তিক আর্থিক সংস্কারের প্রবক্তা। আর, শি জিনপিং অর্থনীতির ওপর শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের পক্ষপাতী। কেকিয়াং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠন থেকে উঠে এসেছেন। তিনি শি জিনপিঙের পূর্বসূরি হু জিনতাওয়েরও একজন বড় সমর্থক। যেদিন কেকিয়াঙকে পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল, সেদিন হু জিনতাওকেও জাতীয় অধিবেশন থেকে বের হয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্যে এক অনলাইন গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
Read full story in English