বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের সুপারিশ মেনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নয়া বেতন কাঠামো চালু করতে গড়িমসি করছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার। প্রতিবাদে আগামী ১৯শে নভেম্বর থেকে দু'দিনের কর্মবিরতীরও ডাক দেয় সংগঠনটি। জুটার এই পদক্ষেপের কথা জানতে পেরেই সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জুটার সাধারণ সম্পাদককে ফোনে রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেছেন। দাবি জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের।
আরও পড়ুন: মমতার ঘরে ঢুকে হতবাক রাজ্যপাল! কী বললেন তিনি?
এক বিবৃতিতে পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে বড় শিক্ষকদের সংগঠন জুটার সদস্যরা আগামী বৃহস্পতিবার পুজোর ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললে রাজ্যপালের আবেদন নিয়ে আলোচনা করবেন। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।' পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, 'গত ২৭ অক্টোবর আমাকে ফোন করা হয় রাজভবনের তরফে। বলা হয় রাজ্যপাল ধনকড় কথা বলতে চান। রাজ্যপাল ধনকড় জানান আধ্যাপকদের বেতন সংক্রান্ত সংগঠনের দাবির বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। জুটার তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া ও কর্মবিরতীর কথাও জানেন তিনি। এছাড়া আমি ওঁকে বলেছি কী ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক বঞ্চনা করছে। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স তকমা না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরি। সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের আবেদন করেছেন রাজ্যপাল।'
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দল, ক্ষোভ প্রকাশ বিরোধীদের
রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েই ধনকড়কে আচার্য হিসেবে বেশ কয়েকবার সক্রিয় হয়ে উঠেতে দেখা গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার থেকে রীতির বাইরে গিয়ে কোর্ট বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা। যা 'অতিসক্রিয়তা' বলে মনে করছেন অনেকে। জুটা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেও তার উত্তর মেলেনি এখনও। অনেকেরই প্রশ্ন তার আগেই কেন আগ বাড়িয়ে শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদককে ফোন করলেন রাজ্যপাল ধনকড়? অনেকেই আবার রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের পিছনে সূক্ষ রাজনীতির কৌশল দেখছেন।
Read the full story in English