ডার্বি শেষ। আত্মঘাতী গোলে বাঙালরা ডার্বিতে মুখ চুন করে যুবভারতী ছেড়েছে। খাতায় কলমে প্রবল শক্তিশালী দল হয়েও আত্মঘাতী গোলে জেতা এটিকে মোহনবাগানও সমর্থকদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। মোদ্দা কথা, কানায় কানায় পূর্ণ যুবভারতীর মান রাখতে পারেনি কলকাতার দুই প্রধান।
বড় ম্যাচের এমন হাইপ চুপসে যেতে দেখে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না সৈয়দ রহিম নবি। দুই প্রধানে খেলা প্রাক্তন তারকা রাজনীতিতে আগেই নাম লিখিয়েছিলেন। তবে ফুটবলের সঙ্গে নাড়ির সংস্রব ছিন্ন করেননি। তবে রবিবারের খেলায় চরম ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে নবি বলে দিচ্ছেন, "ইস্টবেঙ্গল যে কজন ফুটবলারকে এবার সই করিয়েছে, নবি-মেহতাবকে এই অবস্থায় নামিয়ে দিলে হাজার গুণ ভালো খেলবে।"
আরও পড়ুন: সই করেও ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন বাঙালি সুপারস্টার! ডার্বির দিনে উগরে দিলেন যাবতীয় ক্ষোভ
শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, এটিকে মোহনবাগান নিয়েই বিষ্ফোরক বহু ডার্বির নায়ক নবি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলে দিচ্ছেন, "ইস্টবেঙ্গলের কথা বাদ দেওয়া হোক। এটিকে মোহনবাগান কী করল! ওঁরা তো সেট টিম। অনেকদিন একসঙ্গে খেলছে। তারপরেও এরকম রেজাল্ট।"
কিয়ান নাসিরিকে প্ৰথম একাদশে নামাননি কোচ ফেরান্দো। পরে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন গত ডার্বির হ্যাটট্রিক হিরো। স্প্যানিশ কোচের এই স্ট্র্যাটেজির মাথা মুন্ডু খুঁজে পাচ্ছেন না নবি। ক্রুদ্ধ হয়ে বলছেন, "যে ছেলেটা গত ডার্বিতে তিনটে গোল করেছিল, তাঁকেই প্ৰথম একাদশে রাখলেন না কোচ!"
মেহতাব অবশ্য বলছেন, একজন পজিটিভ স্ট্রাইকারের সমস্যা বাকি সিজনে ভোগাতে পারে এটিকে মোহনবাগানকে। বলছেন, "একজন ভালো মানের স্ট্রাইকার দরকার এটিকে মোহনবাগানের যে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া লিস্টনকে উইথড্রয়াল হিসাবে ব্যবহার করাও ভুল। ওঁকে ওর নিজের পজিশনে ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আরও বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে লিস্টন।"
ডার্বিতে দুই দল মিলিয়ে সাকুল্যে তিন বাঙালিকে দেখেছে যুবভারতী। সবুজ মেরুন শিবিরের শুভাশিস, প্রীতম এবং লাল-হলুদের সৌভিক। মেহতাব এতে বাঙালি ফুটবলারের কম সাপ্লাই লাইনকেই দুষছেন। সাফ জানাচ্ছেন, "এটা আমাদের কাছে লজ্জার। যাঁরা গতকাল ডার্বিতে খেলেছে, তাঁরা কি আদৌ ডার্বির গুরুত্ব বোঝে?"
আক্ষেপ হতাশা নিয়েই যে দু-বছর পর প্রত্যাবর্তনের ডার্বি ধরা দিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।