খাস সরকারি হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধার দরুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য চড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পগনার বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এক যুবকের মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হাসপাতালের এক কর্মী নগদ ৪০০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। তবে এবার সেই সরকারি হাসপাতালেই দুর্ঘটনায় জখম যুবকের চিকিৎসায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জামতলার বাসিন্দা ভগীরথ মণ্ডল। টোটো উল্টে গিয়ে তিনি মাথায় ও হাতে চোট পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে তাঁকে জয়নগর কুলতলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেখান থেকে তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন- লোক ঠকানোয় ‘কালীঘাটের কাকু’ ঘোল খাওয়াবেন ‘দুঁদে’ প্রতারকদেরও
যুবকের বাবা পরীক্ষিত মণ্ডলের অভিযোগ, ছেলের মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে প্রথমে তিনশো ও পরে আরও একশো টাকা নিয়েছেন হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী। বিনা খরচে সরাকরি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা, তাও তাঁর কাছ থেকে এই টাকা দাবি করায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- এখন কেমন আছেন বুদ্ধবাবু? হাসপাতাল থেকে কবে নাগাদ মিলতে পারে ছুটি?
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাই। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক বলেন, 'এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। হাসপাতালে ড্রেসিং করাতে গিয়ে কেউ টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ শুনলাম। ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এব্যাপারে হাসপাতালের কোনও কর্মী যুক্ত থাকলে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে নিয়ম মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।'