New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/15/0yHy5yRbRz1XhuMIIECc.jpg)
পাকিস্তানের সামনে ভারতকে 'খাটো' করে দেখানোর চেষ্টা! দেশবিরোধী পোস্টে ধুন্ধুমার, পুলিশের জালে ৩
Pro Pakistan Post: একদিকে যখন অপারেশনে সিন্দুরের সাফল্য দেশজুড়ে আনন্দের পরিবেশ। তখন বাংলা সহ দেশের বেশ কয়েকটি দেশ বিরোধী পোস্টে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের তিনজন।
পাকিস্তানের সামনে ভারতকে 'খাটো' করে দেখানোর চেষ্টা! দেশবিরোধী পোস্টে ধুন্ধুমার, পুলিশের জালে ৩
Anti India Post On Facebook: অপারেশন সিন্দুরের পর প্রথমবারের মতো জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছালেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন সিন্দুরে সেনার সাহসিকতাকে প্রশংসা করে তিনি জানান, এ অভিযান শুধু একটি সামরিক কৌশল নয়, বরং ভারতের সংকল্পের প্রতীক। একদিকে যখন অপারেশনে সিন্দুরের সাফল্য দেশজুড়ে আনন্দের পরিবেশ। তখন বাংলা সহ দেশের বেশ কয়েকটি দেশ বিরোধী পোস্টে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের তিনজন।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা থেকে গ্রেফতার হল নূর মহম্মদ শেখ নামে এক যুবকে। কালনার অনুখাল উত্তর-পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা নূর পেশায় ট্রাক্টর চালক।
বিজেপি নেতা সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার কালনা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পেশ করে। আদালত অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নূর মহম্মদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুটি আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেন। শুধু নূর মহম্মদই নন, ফেসবুকে ভারত-বিরোধী পোস্ট করে পাকিস্তানকে সমর্থনের অভিযোগে জেলার আরও দুই যুবক সরিফুল শেখ ও রবিউল খানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গুসকরা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সরিফুল শেখ পেশায় ইমারত ব্যবসায়ী। ‘রক সরাফ’ নামে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি একটি আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে ভারত বিদ্বেষের ছবি ধরা পড়ে। পোস্ট ঘিরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। স্থানীয়রা স্ক্রিনশট নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে।
তৃতীয় অভিযুক্ত রবিউল খান কাটোয়ার গাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে হায়দরাবাদের একটি হোটেলে কাজ করেন। দিন কয়েক আগে তিনি পাকিস্তানের সমর্থনে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
এই পোস্টের পর রবিউলের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গা ঢাকা দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে কাটোয়া স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে এবং বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের ফেসবুক পোস্ট ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু হয়েছে।