Advertisment

'সেফটিপিন'-এর প্যান্ডেল! কালীপুজোয় চমক ব্যারাকপুরের

শিল্পে 'সেফটিপিন'? চমকে দেওয়ার মতোই ভাবনা। আলোর রোশনাইয়ে আঁধারকে জয় করতে দীপান্বিতা অমাবস্যায় এমন নতুন ভাবনাতেই সাজতে চলেছে ব্যারাকপুরের জাগৃতী সংঘের মণ্ডপ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কালীপুজোর থিমে সেফটিপিন, নতুন ভাবনা ব্যারাকপুরের ক্লাবের

থিমের ভাবনায় শিল্পের নবরূপ দেখতে বহু বছর থেকেই অভ্যস্ত বাঙালি, তা সে মনুমেন্ট হোক, কিংবা আইফেল টাওয়ার, মাটির ভাঁড় হোক কিংবা হাতপাখা। বাঙালির নিত্য ব্যবহার্য্য নানা টুকিটাকিও সযত্নে স্থান পেয়েছে থিম শিল্পে। কিন্তু শিল্পে 'সেফটিপিন'? চমকে দেওয়ার মতোই ভাবনা! সকল আলোর রোশনাইয়ে আঁধার জয় করতে দীপান্বিতা অমাবস্যায় এমন নতুন ভাবনাতেই সাজতে চলেছে ব্যারাকপুরের জাগৃতী সংঘ। সমাজের অন্ধকারকে পিছনে ফেলে রেখে আলোয় ফিরতে, ভালো-খারাপের পার্থক্যকে একসঙ্গে বাঁধতে 'সেফটিফিন'কেই রূপক হিসেবে ব্যবহার করল ব্যারাকপুরের এই পুজো সংগঠন।

Advertisment

publive-image চলছে সেফটিপিন দিয়ে মণ্ডপসজ্জার কাজ

কেন এমন ভাবনা?

শিল্পের জন্য এত বিকল্প থাকতে কালীপুজোর মণ্ডপ সজ্জায় সেফটিপিন কেন? জাগৃতি সংঘের ক্লাব কর্তা প্রবীর ঘোষ বলেন, "আমরা প্রতি বছরই থিমে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করে যাই। এ বছরে সেই ভিন্নতায় নতুন মাত্রা আনতে সেফটিপিন দিয়েই মণ্ডপ এবং প্রতিমা সজ্জার ভাবনা রেখেছি। সেফটিপিন যেরকম বিপদে আপদে কোনও কিছুকে আটকে রাখতে আমাদের সাহায্য করে, তেমনই সমাজের যা যা ভালো দিক আছে সেগুলিকে বেঁধে রাখতেই এই ভাবনা আমাদের।"

publive-image সেফটিপিনে সমন্বয় সাধন করতে বিশেষ ভাবনা এই ক্লাবের

জাগৃতি সঙ্ঘের এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন শিল্পী অজয় পাল। ৬৬ লক্ষেরও বেশি সেফটিপিন দিয়ে মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্বভার নিয়েছেন অজয়। এ মুহূর্তে চলছে শেষ মুহুর্তের 'টাচ আপ' পর্ব। অন্ধকারে আলোর বাঁধনকে কতটা সফলভাবে বাঁধলেন শিল্পী তা অবশ্য বলবেন দর্শনার্থীরাই। তবে বঙ্গ জীবনের অন্যতম অঙ্গ সেফটিপিনের ব্যবহার করে তৈরি এই থিম যে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।

West Bengal
Advertisment