মগরাহাটে জোড়া খুন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার জানে আলম। শনিবার থেকে ফেরার ছিল সে। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল তাকে। অবশেষে গ্রেফতার জানে আলম।
শনিবার সকালে মগরাহাটের মাগুরপুকুর জোড়া খুন কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল জানে আলমের। তার পর থেকেই পলাতক ছিল আলম। বরুণ চক্রবর্তী এবং মলয় মাখাল নামে দুই যুবককে ডেকে নিয়ে এসে খুনের অভিযোগ ওঠে। শনিবারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ দেখে বিক্ষোভ দেখায় আম জনতা।
এলাকার মানুষ বিক্ষোভে বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে মূল অভিযুক্ত জানে আলমকে গ্রেফতার করতে হবে। জনতার রোষ কিছুতেই থামাতে পারছিল না পুলিশ। জানে আলমকে ধরতে হন্যে হয়ে নামে পুলিশ। শেষপর্যন্ত একদিন পর টালিগঞ্জে পালাতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে।
আরও পড়ুন টোলের নামে ‘তোলা’, প্রশাসনিক পদক্ষেপেরও পরও দায়সারা জবাব জেলাপরিষদ-পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের
এদিকে, রবিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক নমিতা সাহা এবং জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। তাঁরাও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন বিধায়ক এবং সাংসদ। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানান পরিজনরা।
পুলিশি তদন্তেও আর আস্থা নেই পরিজনদের। গ্রামবাসীদের কেউ কেউ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মৃতদের পরিজনদের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন বিডিও।