বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যাওয়া গ্রুপ-ডি কর্মীরা এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চাকরি যাওয়া প্রার্থীরা। উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে এখনও সেই মামলার শুনানি হয়নি। এরই মধ্যে এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ চাকরি যাওয়া প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতিতে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরা প্রত্যেকেই দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে তাঁদের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- রাজ্যের ভূমি দফতরে কর্মী নিয়োগ, শুধুমাত্র ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি! বিশদে জানুন
সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের পরেই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে এসএসসি। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি যাওয়া প্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি ফেরানোর ব্যাপারে রায় এখনও না দিলেও তাদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে এবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন গ্রপ-ডি কর্মীরা।
আরও পড়ুন- ভাড়ার গাড়ি ছিনতাইয়ের ছক, চালককে নামিয়ে মাথায় গুলি, পুরোটা জানলে হাড় হিম হবে!
যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে তারা যে কারচুপি করেই নিয়োগ পেয়েছিলেন তা কিন্তু অনেকটাই স্পষ্ট। কারণ, খোদ এসএসসি-র তরফে হইকোর্টে জানানো হয়েছে ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। পরে তাঁদেরই মধ্যে ১৯১১ জনকে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়। ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অনুযায়ী তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।