বকেয়া ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরাকরের উপর চাপ বাড়াতে অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিলের মত কর্মসূচি পালন করে চলেছেন ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শনিবার নবান্নে অভিযানের ডাক দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল যাবে। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। পাল্টা পুলিশের দেওয়া বিকল্প রুটও মেনে নেয়নি মঞ্চের কর্তারা। আদালতের দ্বারস্থ হয় মঞ্চ। সেই মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ডিএ আন্দোলনকারীদের হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল করতে পারবেন। তবে কোনও ধরনের কুমন্তব্য না করে শান্তি বজায় রেখে মিছিল করতে হবে।
হরিশ মুখার্জি রোডে তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তার পাশেই হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। ফলে ওই রাস্তায় সবসময়ই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলে শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থেই পুলিশ ওই রাস্তা দিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল করতে নিষেধ করেছিল বলে প্রশাসন দাবি করে। কলকাতা পুলিশের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের তিনটি বিকল্প পথে মিছিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু হরিশ মুখার্জি রোড দিয়েই মিছিলে অনড় ছিল আন্দোলনকারীরা। দাবি আদায়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্ন ছিল, 'প্রায় দিনই শহরের ব্যস্ত এলাকা হাজরা মোড়ে ধর্না, বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে এত আপত্তি কেন?' জবাবে সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, 'ওই রাস্তা নিরাপত্তার দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকা। মিছিল হলে তা থেকে যদি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হয় তবে তার দায় কে নেবে?'
এর পাল্টা আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'মিছিলের আবেদন করার পরে বেশ কিছু এলাকায় গত ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।' এরপরই বিচারপতি মান্থা বলেন, 'তা হলে তো মিছিল ওই রুটে হলে বলতে হবে শহরের সবচেয়ে শান্ত এলাকা দিয়ে মিছিল যাচ্ছে।' এরপরই ওই রাস্তায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিলের নির্দেশে দেন বিচারপতি।