Advertisment

ইউক্রেনের লড়াই বদলেছে সমীকরণ, ইউরোপের বদলে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বে জোর রাশিয়ার

এটা ক্রেমলিনের অভ্যন্তরীণ কোনও গোপন আলোচনা নয়। প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Xi jinping-Vladimir Putin

ইউক্রেনের লড়াই প্রকৃত বন্ধু যে কে, তা চিনিয়ে দিয়েছে রাশিয়াকে। গোটা বিশ্বের চাপের মুখেও রাশিয়া ইস্যুতে অবস্থান নরম করেনি চিন। রাশিয়ার পাশে থেকেছে। সেই কথা মাথায় রেখে এবার আগামীর পথ ঠিক করতে চলেছে মস্কো। বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপরই জোর দিতে চলেছে ক্রেমলিন। শুধু তাই নয়, ইউরোপ ইস্যুতে তাদের অবস্থানও বদলাচ্ছেন পুতিনরা। রাশিয়া নিজে ইউরোপের দেশ। কিন্তু, তার পরও ইউরোপের কোনও দেশ ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ায়নি।

Advertisment

শুধু তাই নয়, রাশিয়ার সঙ্গে নানাভাবে সম্পর্ক ছিন্নও করেছে। পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা এবং ন্যাটোর। অথচ, এই সব দেশগুলোই কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাশিয়ার থেকে লাগাতার সাহায্য নিয়ে গিয়েছে। কখনও আর্থিক সাহায্য, কখনও বা অন্যরকম কোনও সাহায্য। কিন্তু, ইউক্রেনের হামলার পর উদ্ভূত বিপদে সেই সব ইউরোপের দেশই এখন রাশিয়ার পাশে থাকতে নারাজ। তাই, মুখ ফেরাচ্ছে মস্কোও। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার আর নতুন করে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়েই মস্কো সন্দিহান। সেই কারণে, ইউক্রেন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হলে, ইউরোপ থেকে রাশিয়া মুখ ফেরাতে চায়।

আরও পড়ুন- বিখ্যাত গায়িকা খুন, হাইওয়ের কাছে মাটি চাপা দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

এটা ক্রেমলিনের অভ্যন্তরীণ কোনও গোপন আলোচনা নয়। প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মস্কোয় প্রকাশ্যে এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, হাতগোনা দুই-একটি ছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর বেশিরভাগই 'রুশোফোবিয়া'য় ভুগছে। সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরই। আমেরিকা যে রাশিয়ার চিরপ্রতিপক্ষ, একথা জানার পরও ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের দিকে ঝুঁকেছে।

এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্ব পাতানোর কোনও প্রয়োজন আর অনুভব করছে না রাশিয়া। বদলে, চিনের মতো নির্ভরযোগ্য কোনও দেশের সঙ্গেই রাশিয়া তার বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে চায়। ল্যাভরভ বলেন, 'যদি ইউরোপের দেশগুলোও শর্ত রেখে সম্পর্ক ফের দৃঢ় করতে চায়, তবুও রাশিয়া ভাববে যে আদৌ তার কোনও প্রয়োজন আছে কি না।'

Read full story in English

Foreign Minister Russia-Ukraine Conflict china
Advertisment