আরও জটিল হল ইউক্রেন পরিস্থিতি। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে ইউক্রেন সীমান্তে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রুশ সেনার শতাধিক গাড়ি এবং বেশ কিছু সেনা ইউক্রেনের বেলারুশ সীমান্তে তাঁবু গেড়েছে। পাশাপাশি, পশ্চিম রাশিয়ায় ইউক্রেন সীমান্তের কাছে একটি নতুন সামরিক হাসপাতাল তৈরি করেছে রুশ সেনা।
ইউক্রেন সেনা বুধবারই দাবি করেছিল, বিদ্রোহীদের গোলার আঘাতে তাদের এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিরতি লঙ্ঘন করে এমন সংঘর্ষ বারবার ঘটেছে। কিয়েভের দাবি, রাশিয়ার জনপ্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেশের বাইরে সেনা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরই ইউক্রেন সীমান্ত বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার তেল এবং গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা এবং ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সবরকম ভাবে ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া যাবতীয় দোষ ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। মস্কোর দাবি, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। তার জেরে ভুগছে রাশিয়া। কারণ, ওই দুই এলাকা থেকে প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে। রুশ সেনাবাহিনী তাদের দেখভাল করছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ত্রাণশিবির শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছে মস্কো।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেনের দুনিয়া কাঁপানো দ্বন্দ্ব, পুতিন কি সোভিয়েত ইউনিয়নে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর?
এই পরিস্থিতিতে বেলারুশ, আজারবাইজান, উত্তর কোরিয়া পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার। সুর বদল করেছে চিনও। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এই সমস্যার সমাধান নয় বলেই তারা মনে করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে চাইছে রাশিয়া। সাউথ ব্লকের ভূমিকার প্রশংসাও করেছে ক্রেমলিন।
মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ন্যাটো এবং মার্কিন জোটের দিকে ভারত সরকার ঢলে যায়নি। ভারত আর রাশিয়ার মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত মিত্রতা আছে, নয়াদিল্লির এই নিরপেক্ষ অবস্থান তারই পরিচয় বলেই মনে করছে মস্কো।
Read story in English