সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন। একাংশের কাঠগড়ায় আয়োজকরা। অন্যরা দোষারোপ করছেন নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষকে। চর্চা তুঙ্গে। এসবেরে মধ্যেই কলেজ কনসার্ট নিয়ে টনক নড়ল সরকারের।
এতদিন কলেজ কনসার্ট নিয়ে কোনও তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা দফতরের কাছে থাকতো না। ফলে আঁধারেই থাকতো প্রশাসন। কলেজ কনসার্ট নিয়ে কোনও সমস্যা হলেও পদক্ষেপ করতে পারতো না প্রশাসন। এবার সেই প্রথার অবসান হতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথাতেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
কলেজ কনসার্ট কী ধরণের পরিকাঠামোয় হবে? এবার থেকে তা আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'কেকে-র মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক, বেদনাদায়ক। মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুরো বিষয়টি তদারকি করেছেন। এবার কলেজ কনসার্টে কী কী করা হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন- কলেজে ভর্তিতে বড় বদলের ইঙ্গিত, সিলমোহর কেন্দ্রীয় অনলাইনে
সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণ অনেক প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে, কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের দায়বদ্ধতা। খ্যাতনামা শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁদের জন্য যথাযথ বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব কি আয়োজকদের নয়? কিংবা শো চলাকালীন শিল্পীদের কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা? সেই বিষয়ে তত্ত্বাবধান করার দায়িত্বটা-ই বা কাদের বর্তায়? বুধবার নজরুল মঞ্চে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ-এর লাইভ পারফরম্যান্সের সময়ে ঠিক কী ঘটেছিল? সেই বিষয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ মূলত দুটি বিষয় নিয়ে। প্রথমত, আড়াই থেকে তিন হাজার দর্শকাসন থাকা সত্ত্বেও কেন সাত-আট হাজার শ্রোতাকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল অডিটোরিয়ামের ভিতর? দ্বিতীয়ত, এত সংখ্যক মানুষ থাকা সত্ত্বেও বন্ধ করে দেওয়া হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। দমবন্ধ করা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। আর ঠিক এমন ‘গোলযোগ’ নিয়েই অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এসবের পরই সজাগ রাজ্য প্রশাসন।