ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে পঞ্চম দফার ভোটপর্ব। গতকাল পঞ্চম দফা ভোটের মাঝেও বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মোদী। এর আগেও বাংলার একাধিক জনসভা থেকে সন্দেশখালি থেকে চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি শাসক দলকে নিশানা করেন।
৪০০ পারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৪-এ ভোটের ময়দানে নামে বিজেপি।
মোদীর গলাতেও বারে বারেই উঠে আসে ৪০০ পারের স্লোগান। নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে মোদীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে কংগ্রেস শাসনের ব্যার্থতা, উন্নত ভারতের প্রতিশ্রুতি, অর্থনৈতিক বিকাশ। ১৬ মার্চ নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার পর থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদীর বক্তৃতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ৪০০ পারের স্লোগান। বদলে ৫ এপ্রিল কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশের সময় থেকে মোদীর বক্তৃতায় উঠে আসে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ, সম্পদ পুনর্বন্টন এবং ধর্ম-ভিত্তিক সংরক্ষণের বিষয়।
১৭ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মোদীর ১১১ বক্তৃতার বিশ্লেষণ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে তিনি তার ৪৫ টি বক্তৃতায় বিভিন্ন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। মোদী “৪০০ পার”-এর আহ্বান জানিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেছিলেন। ১০ টির মধ্যে ৬টি বক্তৃতায় মোদী রাম মন্দিরকে বিজেপির কৃতিত্ব হিসেবে তুলে ধরেন।
কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশের পর দিনই রাজস্থানের আজমিরে, ৬ এপ্রিলের জনসভায় মোদী উল্লেখ করেন কংগ্রেসের ইস্তেহারে "মুসলিম লীগের" ছাপ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, মোদীর ৩৪ টির মধ্যে সাতটি বক্তৃতায় ন্যায় পত্রকে "মুসলিম লীগের ইস্তেহার" বলে দাবি করেন। পাশাপাশি ৩৪টি বক্তৃতার মধ্যে ১৭টিতে তিনি বিরোধীদের "হিন্দু-বিরোধী"বলেও উল্লেখ করেন। স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির নিয়েও মোদী তার বক্তৃতায় বিরোধীদের নিশানা করেন। ২৭টি বক্তৃতায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লাগাতার নিশানা করেন।
কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং মোদী সরকারের উন্নয়ন ৬৭টি বক্তৃতার মধ্যে ৬০টিতে তুলে ধরেন মোদী। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের সাফল্যের উল্লেখের সংখ্যা ছিল ৪৩টি ভাষণে। ৬৭ টি বক্তৃতায় মাত্র ১৬টিতে মোদী "৪০০ পার” স্লোগানের কথা উল্লেখ করেন। ১১১ টি বক্তৃতার মধ্যে ৮৪ টিতে তিনি গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে লক্ষ্যে তার সরকারের নীতির কথা উল্লেখ করেন। ৮১টি টি বক্তৃতায় নারী ক্ষমতায়ন নিয়েও কথা বলেছিলেন মোদী।