ভোটতৃতীয়ার শুরু থেকেই কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও বুথে ঢুকে পড়া, কোথাাও ভোটারকে প্রভাবিত করার একাধিক অভিযোগ আসছে বাংলায় নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃতীয় দফার ভোটের দিন বেলা বাড়তেই তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটে লিখেছেন যে, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্মম কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। বারবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। তৃণমূলের ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেককে বিরোধী দল প্রভাবিতও করছে। সেখানে সিআরপিএফ নীরব দর্শক।”
এর আগে, ১লা এপ্রিল নন্দীগ্রামের ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষহীনতার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বয়ালের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব থাকার কারণেই বিজেপি ভোট লুঠ করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। এমনকী বয়ালের ৭ নম্বর বুথে প্রায় দু'ঘন্টা বসেছিলেন তিনি। কমিশনের ভোট পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ ছিল তাঁর। যদিও পরে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছিলেন, 'বাংলার মা-মাটি-মানুষকে আমার আবেদন - নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন, সবাই আসুন, ভোট দিন। সকাল সকাল ভোট দিন।' এদিকে বিভিন্ন অভিযোগের মাঝেও তৃণমূলের তরফে দাবি, প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃতীয় দফাতেও এগিয়ে থাকবে ঘাসফুল শিবির৷ জয়ী হবেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন