দিল্লিতে করোনার টিকাকরণ অভিযানের শ্লথ গতি। সরকারের কোউইন পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বুধবার রাজধানীতে মাত্র ৪৪ হাজার ৪৬৭ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। রবিবার ছাড়া চলতি সপ্তাহের প্রতিদিনই গড়ে দিল্লিতে টিকার ৬৮ হাজার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে দিল্লিতে ৭৬ হাজার ৬০০-রও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছিল।
দিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের গতি কমেছে। তথ্য বলছে, বুধবার ১৮-৪৪ বছর বয়সী ২২ হাজার ২০০ জনকে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে, রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে যা এই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে, শুধুমাত্র এই ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের প্রতিদিন গড়ে ৯৬ হাজারেরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হচ্ছিল।
এমনকী একসময় এই সংখ্যা ১ লক্ষ অতিক্রম করে গিয়েছিল। জানুয়ারির শেষের দিক থেকে শিশুদের টিকাদান কমতে শুরু করেছে। তবে ৮০ শতাংশেরও বেশি শিশুকে ইতিমধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরুর পর থেকে সেই সংখ্যাগুলি আবার বাড়তে শুরু করে।
আরও পড়ুন- শিশুদের মধ্যেও কোভিডের ফলাফল হতে পারে ‘বিপজ্জনক’: গবেষণা
টিকাকরণের গতি কমার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশাসনের এক কর্তা। যদিও এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ''প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের গতি ধীর। অনেক অভিভাবক চান না যে তাঁদের সন্তানদের এখন টিকা দেওয়া হোক। কারণ স্কুলগুলিতে ফাইনাল পরীক্ষা সামনেই।'' উল্লেখ্য, রাজধানীতে টিকাকরণের গতি মন্থর হওয়ার খবর আগেই প্রকাশ করেছিল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তবে তারপরেও দিল্লিতে টিকাকরণের ধীর গতি জারি।
দিল্লিতে করোনার সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়ার গতিও বেশ ধীর। গত তিন দিনে রাজধানীতে গড়ে মাত্র ২ হাজার ৭৯২টি সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে করোনার সতর্কতামূলক ডোজ পাওয়ার যোগ্য জনসংখ্যা ৯ লক্ষ ৭০ হাজার। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬৫টি করোনা টিকার সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হয়েছে।