দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে ফের এক দফায় সচেতনতার পাঠ বিশেষজ্ঞদের। যদিও এখনই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মানতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আপাতত দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ারও আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে আইসিএমআর।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবরার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৫ জন। যা গতকালের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। একদিনে দেশে নতুন করে করোনার বলি আরও ২২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৩০৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ১৯০ কোটিরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে রাজধানী দিল্লির সংক্রমণই খানিকটা হলেও চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। গতকালও দিল্লিতে ১৬০০-রও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষার উপরেই জোর দিচ্ছে দিল্লির সরকার। বেশ কিছু বিধি-নিষেধও আরোপ করা হয়েছে।
দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সতর্ক পড়শি রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানা। এই দুই রাজ্যই দিল্লির সঙ্গে সীমানা ভাগ করছে। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের দিল্লি লাগোয়া এলাকাগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে দুই রাজ্যের সরকার। মাস্ক না পরলে জরিমানাও করা হচ্ছে।
Read story in English