সারদাকাণ্ডের তদন্তে নতুন করে উঠেপড়ে লাগল সিবিআই। এ মামলায় ফের সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে জেরা করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত সেনকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যায় সিবিআই-এর ৪ সদস্যের দল। দুপুর ১টা থেকে সারদা কর্ণধারকে জেরা করা হয়। নতুন সূত্রের হাত ধরেই সুদীপ্তকে জেরা করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে সুদীপ্তকে জেরা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নোবেলজয়ী অভিষেকবাবু’, মমতার মন্তব্যে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডে রাজীব কুমারকে হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সিবিআই। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ সরার পর রীতিমতো ‘গা ঢাকা’ দেন রাজীব। বেশ কয়েকবার হাজিরার জন্য রাজীবকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি রাজীব। বরং আড়াল থেকে সুকৌশলে সিবিআই-এর সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন এই দুঁদে আইপিএস। শেষমেশ কয়েকদিন রুদ্ধদ্বার শুনানির পর হাইকোর্ট রাজীবের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। আপাতত সারদা চিটফান্ড মামলায় কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। আদালত জানায়, রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। এই প্রেক্ষাপটে সুদীপ্ত সেনকে সিবিআই জেরা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে রাজীব কুমার, দেখে চেনাই দুষ্কর
উল্লেখ্য, সারদার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বিনিয়োগকারী এবং এজেন্টদের পক্ষ থেকে বিধাননগর পুলিশের কাছে শয়ে শয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। সুদীপ্ত সেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালিয়ে যান। তার আগে ১৮ পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে যান তিনি, যে চিঠিতে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের নামে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁর হাত মুচড়ে রাজনীতিবিদদের ক্রমাগত টাকা নিয়ে নেওয়ার ফলেই এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল সোনমার্গে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়। সারদা মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।