শতাব্দী প্রাচীন পুরভবনের ভিতরেই মঞ্চ প্রস্তুত। আজ, মঙ্গলবার সেই মঞ্চেই কলকাতার ৩৯তম মহানাগরিক হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম। এই প্রথম পুরভবনের ভিতরের লনে শপথগ্রহণের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য ৫০০টি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চে থাকবে ৩০টি আসন। এই মঞ্চেই শপথ নেবেন ফিরহাদ।
এদিন মেয়রের পাশাপাশি শপথ গ্রহণ করবেন চেয়ারপার্সন এবং মেয়র পারিষদরাও। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, চেয়ারপার্সন মালা রায় এবং মেয়র পারিষদ হিসাবে দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন ববি, মিতালী বন্দোপাধ্যায়, রাম পেয়ারে রাম, জীবন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ও এদিন শপথ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে টাউন হলে মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার আগে কলকাতার সব মেয়রই শপথ গ্রহণ করেন পুরভবনের সভাঘরে। এবারই ব্যতিক্রম ঘটছে প্রথার। এই প্রথম পুরসভার লনে মঞ্চ তৈরি করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। শপথ গ্রহণের পর আজ মেয়র, চেয়ারপার্সন, মেয়র পারিষদদের ঘরে নামফলক বসানো হবে।
সূত্রের খবর, নতুন করে সাজানো হয়েছে মেয়রের দফতর। মেঝেতে বনয়া কার্পেট বসেছে। দেওয়ালে নয়া ওয়ালপেপার লাগানো হয়েছে। ঘরের আলোকসজ্জাও নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। পালিশ করা হয়েছে মেয়রের ঘরের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র। গত কয়েকদিব ধরেই ঘরের সমস্ত সামগ্রী বাইরে বের করে ঝাড়পোছ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ভোট প্রাপ্তিতে নির্দলদের ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’, কলকাতার ফলাফল-ই কী বাকি পুরভোটে অণুপ্রেরণা?
প্রসঙ্গত, এবারের পুরভোটের আগে ফিরহাদকে প্রার্থী নাও করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু প্রার্থীতালিকা ঘোষণার দিন ববির নাম ঘোষণা করে মমতা তাঁর উপর আস্থা রাখেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিয়ে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বিরাট মার্জিনে জেতেন ফিরহাদ। ফল বেরোলে দেখা যায় ১৪ হাজার ৮৬৭ ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর মেয়র পদে বসেছিলেন ফিরহাদ।
গত বছর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান করা হয়। ফিরহাদের অপসারণের দাবিতে বিরোধীরা তো বটেই, দলের অন্দরেই ডাক উঠেছিল। কিন্তু মমতার আস্থা ছিল ববিতেই। তাই তাঁকে প্রার্থী করা থেকে শুরু করে ফের মেয়র পদে বসানো সবেতেই দিদির পরিকল্পনা ছিল। এতদিন শোভনের স্থলাভিষিক্ত ছিলেন তিনি। এবার ভোটে জিতে দলনেতা নির্বাচিত হয়ে মেয়রের চেয়ারে বসবেন তিনি।