/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/01/download-3.jpg)
এই ভিড় নিয়েই চিন্তা, কী করে হবে এবারের বইমেলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ
করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যে জারি হয়েছে নয়া বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতির মধ্যে কী করে আয়োজিত হবে এবছর কলকাতা বইমেলা, এই প্রশ্নেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের। গত বছর ঘোষণা অনুসারে এই বছর, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে তা চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তে এবার কী শেষপর্যন্ত হবে বই মেলা? এর উত্তর এখনই স্পষ্ট হয়।
তবে হাল ছাড়তে নারাজ উদ্যোক্তারা। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। কিন্তু প্রশ্ন হল, যেখানে বিয়েবাড়িতে ৫০ জন, মৃত দেহ সৎকারে সর্বোচ্চ ২০ জনের অনুমতি মিলেছে সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিয়ে কী ভাবে হবে বইমেলা! এই নিয়েই দেখা দিয়েছে বিস্তর সংশয়। পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বইমেলা নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তাকে আমল দিতে চাইছেন না। যেহেতু, রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি রয়েছে, তাই এখনই আশা ছাড়তে রাজি নন তিনি। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে, তবে আমরা আশাবাদী’।
আরও পড়ুন কলকাতায় ২৫ মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন, মঙ্গলেই চালু ৩ সেফ হোম
বইমেলার দিন ঘোষণার পর থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছিল গিল্ড। কোভিডবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বইমেলা আয়োজনের দিকে নজর ছিল প্রথম থেকেই। সে কারণেই কমানো হয়েছে স্টলের মাপ। প্রতিটি স্টলের আয়তন ৩০-৩৫ শতাংশ কমিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ফাঁকা জায়গা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সকল প্রকার কোভিড প্রটোকল মেনেই বইমেলা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এবছর ৬০০টির বেশি বইয়ের স্টল ও ২০০টির বেশি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। মেলাপ্রাঙ্গণে সেগুলির তৈরির কাজ ১৫ জানুয়ারির পরই শুরু হবে। এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে, কলকাতা বইমেলার ভবিষ্যৎ।