Kheer Sandesh Recipe: লক্ষ্মীপুজোয় দেবীর এই প্রিয় মিষ্টি ভোগে রাখছেন তো? চটপট বানান এভাবে!

Kheer Sandesh Recipe: দেবী লক্ষ্মীর প্রিয় এই মিষ্টি শুধু স্বাদে নয় গন্ধেও মন কাড়বে সকলের। যা পুজোর আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। এই মিষ্টি বানানো খুব সহজ।

Kheer Sandesh Recipe: দেবী লক্ষ্মীর প্রিয় এই মিষ্টি শুধু স্বাদে নয় গন্ধেও মন কাড়বে সকলের। যা পুজোর আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। এই মিষ্টি বানানো খুব সহজ।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Kheer Sandesh Recipe 1

Kheer Sandesh Recipe: লক্ষ্মীপুজোয় এই সুস্বাদু মিষ্টির বেজায় কদর।

Kheer Sandesh Recipe: লক্ষ্মীপুজোয় দেবী লক্ষ্মীকে নানারকম উপাচারে পুজো করা হয়। তার মধ্যে দেবীর ভোগও রয়েছে। নৈবেদ্য তো থাকেই। সঙ্গে কিছু পদ দেবীকে ভোগে দিতে হয়। যার মধ্যে এক বিশেষ মিষ্টি অন্যতম বলেই প্রচলিত। এই মিষ্টি শুধু সুস্বাদুই নয়। গন্ধেও মন টানে সকলের। ঘরে নিয়ে আসে পুজোর পরিবেশ।

Advertisment

পাশাপাশি, বাঙালির মিষ্টি ভালোবাসাও চিরন্তন। সন্দেশ, রসগোল্লা, চমচমের মতই ক্ষীর সন্দেশের নামও বাঙালি রসনা তালিকায় শীর্ষে। এই মিষ্টির ইতিহাস বহু পুরনো — যশোর, নড়াইল, কৃষ্ণনগর-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষীর সন্দেশ আজও উৎসব, পূজা বা অতিথি আপ্যায়নের অপরিহার্য অংশ।

আরও পড়ুন- আসছে বছর আবার হবে! কিন্তু আগামী তিন বছর কবে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালীপুজো? দেখে নিন এখানে

Advertisment

তার মধ্যে ক্ষীর সন্দেশের বিশেষত্ব হল- এর নরম, দুধের গন্ধে ভরা টেক্সচার এবং মুখে গলে যাওয়া স্বাদ। ছানা, ক্ষীর (বা ঘন দুধ), চিনি এবং এলাচের সংমিশ্রণেই তৈরি হয় এই রাজকীয় মিষ্টি।

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোই শুধু নয়, লক্ষ্মীপুজোতেও হয় কলাবউয়ের আরাধনা, জানেন কেন?

কী লাগবে? 

আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো কেন রাতেই করা হয়? কারণ জানলে আশ্চর্য হবেন! 

দুধ – ১ লিটার, লেবুর রস বা ভিনেগার – ২ টেবিল চামচ (ছানা তৈরির জন্য), ক্ষীর বা ঘন দুধ – আধা কাপ, চিনি – আধা কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি করা যায়), খোয়া বা মাওয়া – ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ, ঘি – ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বা কাজু কুচি – সাজানোর জন্য। 

আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, পুজোর সময় এগুলো মিলিয়ে নেবেন ঠাকুরমশাই! কিছু বাদ পড়ল না তো?

বানানোর কায়দা

আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য, বাড়িতেই সহজে বানান এই স্পেশাল নারকেলের লাড্ডু 

দুধ ফুটে উঠলে তাতে লেবুর রস বা ভিনেগার দিন। দুধ ফেটে গেলে কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা জলে ধুয়ে জল ঝরিয়ে দিন। ছানাটা যেন নরম থাকে তা নিশ্চিত করুন। একটি প্যানে দুধ ও খোয়া দিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়ুন। দুধ ঘন হয়ে এলে সেটি নামিয়ে রাখুন। এটি ক্ষীর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ছানার মধ্যে চিনি ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন, যাতে মিহি ও মোলায়েম হয়। একটি কড়াইয়ে সামান্য ঘি দিন এবং কম আঁচে ছানার মিশ্রণটি নেড়ে নিন।

আরও পড়ুন- কেন সরাতে হয় লক্ষ্মীপুজো? জানেন লক্ষ্মী পুজোর কতরকম সরা আছে?

যখন মিশ্রণটি হালকা আঠালো হয়ে আসবে, তখন উনুন বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি কিছুটা ঠান্ডা হলে হাতে ছোট ছোট বল বা পছন্দমতো আকার দিন। প্রতিটি সন্দেশের ওপরে সামান্য ক্ষীর দিয়ে সাজান এবং পেস্তা বা কাজুবাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন। ঠান্ডা অবস্থায় ক্ষীর সন্দেশ পরিবেশন করলে স্বাদ আরও বাড়ে। ফ্রিজে রেখে খেলে মিষ্টির টেক্সচার আরও মোলায়েম হয়।

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজো থেকে কোজাগরী পূজা কেন আলাদা? জানুন তাৎপর্য

খোয়া না থাকলে দুধ দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিয়ে খোয়া তৈরি করা যায়। কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করলে স্বাদ আরও গাঢ় ও সমৃদ্ধ হয়। এলাচ ছাড়াও গোলাপজল বা কেশর ব্যবহার করলে অন্যরকম ঘ্রাণ আসে। সন্দেশ তৈরি শেষে এয়ারটাইট কনটেইনারে রাখলে ২-৩ দিন ফ্রেশ থাকে।

আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মানুন এই ১০ টোটকা, ঘরে উথলে উঠবে সুখ

এত সহজে বানানো যায় বলেই লক্ষ্মীপুজো, ভাইফোঁটা, জন্মদিন বা যে কোনও আনন্দের মুহূর্তে ক্ষীর সন্দেশ যেন বাঙালি সংস্কৃতির  প্রতীক হয়ে উঠেছে। দোকানে পাওয়া যায় এর নানারকম ভ্যারিয়েশন— যেমন 'রসভরা ক্ষীর সন্দেশ', 'ড্রাই ফ্রুট সন্দেশ' ইত্যাদি। তবে ঘরে তৈরি ক্ষীর সন্দেশের স্বাদ এবং ভালোবাসার তুলনা হয় না। 

recipe Sandesh